বিএনপির অ্যাকশন : গ্রেপ্তার ৬৯
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে আটক ২ নেতাকে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তাণ্ডবের পর দলটির ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে ঢাকার জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে হাজিরা দিয়ে খালেদা জিয়ার ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় এই সংঘর্ষ বাঁধে। খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন বরাবরই বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে বকশীবাজার এলাকায় জড়ো হয়ে আসছেন। তাদের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের সংঘাত ঘটছিল। এর আগে গত ৩ জানুয়ারিও খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের।
আজকের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে সেখান থেকে দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান। তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) আদালত থেকে ফেরার পথে হাই কোর্টের সামনে তার উপস্থিতিতেই পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা করে দুজন নেতাকে ছিনিয়ে নেয় কর্মীরা। ছিনিয়ে নেওয়া ওই দুই নেতার নাম জানাতে পারেননি তিনি।
হামলাকারীরা পুলিশের প্রিজন ভ্যানের কাচ ভেঙে ফেলে; কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পেটানোর পাশাপাশি অস্ত্রও ভেঙে ফেলে তারা। রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আজিমুল হক বলেন, কদম ফোয়ারার সামনে খালেদা জিয়ার বহর থেকে একটি প্রিজন ভ্যানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। ভাংচুরের ঘটনায় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং ইট নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ অন্তত চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে আজিম দাবি করেন, ওই সময় পর্যন্ত প্রিজন ভ্যানে কোনো আসামিকে তোলা হয়নি।
উপকমিশনার মারুফ বলেন, আমরা অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। কোনো কারণ ছাড়াই তারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে। বহরে খালেদা জিয়া থাকায় আমরা বড় ধরনের অ্যাকশনে যাইনি। শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, পুলিশের প্রিজন ভ্যান ভাংচুর, ইট নিক্ষেপ, পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।পিডিএসও/মুস্তাফিজ