reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ ৪ দাবি

আসন্ন দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় তারা।

বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে। এ ধর্মীয় উৎসব সমগ্র বাঙালি জাতির ঐক্য ও মিলনের মহোৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়কে ৫ দিনব্যাপী ধর্মীয় কাজে ব্যস্ত থেকে ও ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনেই দুর্গাপূজা পালন করতে হয়। দুর্গাপূজার মূল ৩টি দিন হলো সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী। এ সময় দিন-রাত ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সার্থকভাবে দুর্গাপূজা পালন করতে হয়।

তারা বলেন, দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। কারণ ৫ দিনের দুর্গাপূজায় মাত্র ১ দিন সরকারি ছুটি। যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে দুর্গাপূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। এমনকি পরিবার পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, এবার থেকেই দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) ঘোষণা করা হোক।

বক্তারা আরও বলেন, দুর্গাপূজা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। কারণ পূজার আগে ও পরে বিভিন্ন জেলায় প্রতিমা বানানোর সময় ভাঙচুর করা হয়েছে। তাই এবার পূজামণ্ডপ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনা সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই ভাবতে শুরু করেছে। আমরা প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের দাবিগুলো হলো—

১. দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) ঘোষণা করতে হবে।

২. প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন সময় পর্যন্ত কোনও প্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয়, সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।

৩. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা।

৪. প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে দুর্গাপূজায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়, নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, প্রধান সমন্বয়কারী ড. সোনালী দাস, নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close