ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদাত মাহমুদ আত্মহত্যা করেছেন। এ সময় তার লাশের পাশে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৯ জুন) এশার নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ও প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, পড়াশোনা ও অন্যান্য কারণে তিনি হতাশায় ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করছি। তার মরদেহের পাশ থেকে আমরা একটা ছোট সুইসাইডাল নোটও পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ফয়েজউল্লাহ বলেন, সাদাত বুধবার দুপুরে নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছে। তবে কীভাবে বা কেন তার এই আত্মহনন, সেটা জানতে পারিনি। তার পরিবারও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

বিষয়টি জানিয়ে বুধবার রাতে শোকবার্তা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনের একাংশের সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা মহানগর সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদাত মাহমুদ আজ (২৯ জুন) দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

তারা সাদাত মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের আন্দোলন করতে গিয়ে ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’ করার অভিযোগ তুলে ২০২০ সালের নভেম্বরে সাদাতসহ দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। একই বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বেইলি রোডের দেয়ালে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার সময় সাদাতসহ ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল রমনা থানা পুলিশ। এছাড়া ২০২০ সালে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাদাত।

সাদাত মাহমুদ সর্বশেষ স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।