reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ জানুয়ারি, ২০২০

পুরনো রেল সেতু মেরামতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে পুরনো রেল সেতুগুলো মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একগুচ্ছ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার এ নির্দেশনা আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে রেলব্রিজ পুরনো হয়ে যাওয়ায় অত্যন্ত ধীরগতিতে ট্রেন চলে, সময় বেশি লাগে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি থাকে, সেসব সেতুর বিষয়ে তিনি নিজে খোঁজখবর নিয়েছেন। কাজেই আমি মনে করব, সারা বাংলাদেশে একটা সার্ভে করে যেখানে যত পুরনো জরাজীর্ণ রেল ব্রিজ আছে, সেগুলো সব মেরামত করতে হবে। সেজন্য একটা প্রজেক্ট আলাদাভাবে আমি মনে করি তৈরি করে আনবে। তাহলে আমরা সেটা করে দিতে পারি এবং দ্রুত কাজগুলো করতে পারি।

অতীতের সরকারগুলো রেল যোগাযোগকে ‘সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল’ মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, সে কারণে তারা যেমন গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে লোকবল বিদায় দিয়ে দেয়, আর বিভিন্ন জায়গায় লাইনগুলো বন্ধ করে দেয়। আমি মনে করি, এটা একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলওয়ের উন্নয়নে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে—সেসব বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রেলওয়েকে আমরা এখন সম্প্রসারণ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমার একটা অনুরোধ থাকবে যে, আমরা রেললাইন বাড়াচ্ছি, নতুন নতুন বগি এবং যাত্রী পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। তবে রেলওয়ের পুরনো যে সমস্ত ব্রিজগুলো আছে বিভিন্ন কালভার্টের ওপর এবং বিভিন্ন ব্রিজ—এই ব্রিজগুলো ভালোভাবে মেরামত করতে হবে। তার কারণ হলো এগুলো এত পুরনো…।

দেশবাসীকে পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, অনেক অর্থ খরচ করে পানি শোধন করে সেই পানি সরবরাহ করা হয়। এই পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। পানির অপচয় বন্ধ করতে হবে।

ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর নয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা... সেখানে একসময় আমি নিজেও খুব উৎসাহিত করতাম। কিন্তু পরবর্তীতে লক্ষ্য করলাম যে, ঋণের পরিমাণ এত বেড়ে যায়—শেষে মানুষ ঋণগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করে, না হয় এলাকা ছেড়ে ভাগে, না হয় ছেলে মেয়ে বিক্রি করে, বাড়িঘর বিক্রি করে। নিঃস্ব হয়ে যায়। সে আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। অর্থাৎ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যকর হয় না।

শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরার পাশাপাশি তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও মনে করিয়ে দেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সমর্থনে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরার কথাও তিনি স্মরণ করেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,ভিডিও কনফারেন্স,রেল সেতু
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close