হাসান ইমন

  ০৬ অক্টোবর, ২০১৯

জন্মনিবন্ধন দিবসে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

এক কার্ডে সব ধরণের তথ্য নেওয়ার ব্যবস্থা করুন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সেবা পেতে জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট ব্যবহার করি। জন্মনিবন্ধন সবার জন্য। আর আইডি কার্ড যাদের বয়স ১৮ এর উপরে তাদের জন্য। আপনার এখানে একটি কার্ড ব্যবহার করুন, যেখানে সব ধরনের তথ্য থাকবে। আর যাদের বয়স ১৮ নিচে তাদের বয়স ১৮ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কার্ডে অটোমেটিক আপডেট হয়ে যাবে।

রোববার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জন্মসনদ শিশুর অধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব সবার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস উপলক্ষে সেমিনারটির আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্টার জেনারেল কার্যালয় এবং ইউনিসেফ।

জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস উপলক্ষে এর আগে সকাল ১০টার দিকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

সেমনিারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান এনডিসি, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টমো হুজুমি, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের ও জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার মালিক লাল বণিক।

জন্মনিবন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার জন্মনিবন্ধন করাটাও অনেক বেশি দরকার। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে।

জন্মনিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে। কিন্তু তা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের জন্য। কিন্তু জন্মসনদ সবার জন্যই প্রয়োজন। শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সে কেন জন্মনিবন্ধন কার্ড পাবে না?

তিনি বলেন, শিশুটি বড় হলে চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা সবকিছুই জন্মনিবন্ধন সনদে যুক্ত থাকবে। সব তথ্য জন্মনিবন্ধন সনদে থাকলে যখন সে কেনাকাটা করবে, সেটা তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেটাও আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারবো। সেটার কোনো গরমিল হলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ তারা সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, জন্মনিবন্ধন জনগনের জন্য খুবই প্রয়োজন। সরকারি ১৮টি সেবা পেতে হলে জন্মসনদ লাগবেই। তাই প্রতিটি শিশু জন্ম হওয়ার ৪৫দিনের মধ্যে জন্মসনদ করে ফেলুন। আর সরকারি টিকাসহ নানান সুযোগ ভোগ করুন। এরপর তিনি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিভাগের নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন।

রোকসানা কাদের বলেন, জনগনের সচেনতা বাড়াতে দেশজুড়ে জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবসটি পালিত হচ্ছে। জন্মনিবন্ধন সনদ করলে কি কি উপকারীতা আছে সেগুলো সম্পর্কে বলা হচ্ছে। সবাই সচেতন হলে জন্মনিবন্ধন বিষয়টি আরো গতি পাবে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জন্মনিবন্ধন দিবস,স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close