একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যায়িত করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, প্রতিবেদনটি পূর্বনির্ধারিত, মনগড়া। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, টিআইবি প্রতিবেদনটিকে গবেষণা বলে দাবি করছে। কিন্তু তা কোনো গবেষণা নয়। গবেষণা করতে যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়, তা এখানে প্রয়োগ করা হয়নি। এছাড়া বলা হয়েছে, এটি তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন। তার অর্থই হচ্ছে, প্রতিবেদনটি মনগড়া।

রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে, নির্বাচনে ৪৭টি আসনের এক বা একাধিক ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, টিআইবি বলেছে গবেষণাটি গুণবাচক। এতে মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার ও পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাবাচক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য নেওয়া হয়েছে পরোক্ষ উৎস থেকে। কিন্তু এভাবে কোনো গবেষণা হয় না। ভোটের কারচুপির তথ্য নিলে অবশ্যই তা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নিতে হবে অথবা লিখিত কোনো ডকুমেন্ট থেকে নিতে হবে। কিন্তু তারা এসবের কিছুই করেনি। কাজেই এটি কোনো গবেষণা হয়নি।

রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, টিআইবি বলেছে, তারা বাছাই করা প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিলে গবেষণা প্রতিবেদন এক রকম হবে। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কাছ থেকে নিলে তা আরেক রকম হবে। কিন্তু এই গবেষণায় টিআইবির বাছাই করা প্রার্থী কারা, সেটা স্পষ্ট নয়। তাই আমরা এ প্রতিবেদন আমলে নিচ্ছি না।

পিডিএসও/তাজ