reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ জুন, ২০২২

পুতিনের ক্ষমতা খর্ব করতে রাশিয়ার সোনা বয়কট চার দেশের

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার কাছ থেকে সোনা কেনা বয়কট করেছে চার দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও কানাডা রাশিয়া থেকে সোনা আমদানি করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি (পুতিনের ক্ষমতা) খর্ব করতেই জি-৭ জোটের এ চার সদস্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এই পদক্ষেপ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ মেশিনের চালিকা শক্তিতে আঘাত করবে।

২০২১ সালে রাশিয়ার রপ্তানি করা স্বর্ণের মূল্য ছিল ১ হাজার ২৬০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড বা ১ হাজার ৫৪০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকার সমান (প্রতি ডলার ৯৯ টাকা ধরে)।

ধনী দেশগুলোর জোট গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও কানাডা—এই চার দেশ রাশিয়ান সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। জার্মানির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বাভারিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-৭ গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-৭ জোটের অপর তিন সদস্যদেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালিকে এই নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক টুইট বার্তায় বলেন, একসঙ্গে জি-৭ ঘোষণা করবে যে আমরা রাশিয়ান সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করব। কারণ, এটি রাশিয়ার একটি প্রধান রপ্তানি পণ্য, যা রপ্তানি করে তারা বেশ কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে।

আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার পুতিন সরকার অর্থায়নের ক্ষমতা খর্ব করার পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের। আমরা যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এবং আমাদের মিত্ররাও ঠিক সে চেষ্টাই করছি এখন।

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন আন্তর্জাতিকভাবে সোনা বেচাকেনার একটি অন্যতম কেন্দ্র। যুক্তরাজ্য সরকার মনে করে, অন্য তিন দেশের সঙ্গে মিলে তারা যে পদক্ষেপটি নিয়েছে, সেটি প্রেসিডেন্ট পুতিনের তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতার ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবশ্য এটাকে ‘বিশেষ অভিযান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এরপর দেখতে দেখতে চার মাস কেটে গেল। এই সময়ে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিশেষ করে পুতিন সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত শীর্ষস্থানীয় ধনীসহ ব্যাংক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য দেশ এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি রাশিয়ান ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাশিয়া,সোনা,বয়কট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close