পটুয়াখালী প্রতিনিধি
কুয়াকাটার ইলিশ পার্কে পর্যটকদের ভিড়
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকদের বিনোদনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে ইলিশ পার্ক। পর্যটকরা এখানে এসে বিশ্বের বড় কৃত্রিম ইলিশের পেটে বসে খাবার গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে। ইলিশের নামানুসারে কুয়াকাটা মহা-সড়ক লাগোয়া এলজিইডি এর বাংলোর বিপরীতে ৩৩ শতক জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে এ ইলিশ পার্কটি।
ইলিশ পার্কে রয়েছে ভোঁদর, বানর, বেজি, পাহাড়ি গুঁই সাপ, বিদেশী কুকুর। এ ছাড়া কৃত্রিম বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, বক, কচ্ছপ, জিরাফ সহ নানা প্রজাতির জীবজন্তুর ভাস্কর্য রয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য। পার্কের মূল ফটকের পাশেই রাখা হয়েছে কুয়াকাটার কৃষ্টি কালচার, আদীবাসী রাখাইনদের বৈচিত্রময় জীবন জীবিকার ফটো গ্যালারি। সমগ্র পার্কের চারদিকের কৃত্রিম লেক সাজানো হয়েছে সামুদ্রিক মাছ , ফুল ও ফলের গাছ দিয়ে। বাঁশ ও ছনের ঘর গুলো দৃষ্টি নন্দন করেছে পার্কটিকে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভীড় করছে পার্কটিতে । পর্যটন সম্ভাবনাকে এগিয়ে রাখতে নব্বই দশক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন রুমান ইমতিয়াজ তুষার। সরকারের পর্যটন বর্ষ ২০১৬ এর থার্টি ফার্ষ্ট নাইটে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ইলিশ পার্ক এ্যান্ড রিসোর্ট।
টুরিষ্ট গাইড আরিফ হোসেন বলেন, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য কুয়াকাটায় এরকম অসংখ্য পর্যটন জোন তৈরী হলে এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বাড়তি বিনোদনের সুযোগ পাবে।
ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, কুয়াকাটাকে আরো পরিচিত করতে ইলিশ পার্ক নামক এই বিনোদন পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। ইলিশ পার্কের ইলিশ ক্যাফেতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ইলিশের সব রকমের মজাদার খাবার। এখানে সামুদ্রিক মাছের ফ্রাইসহ থাকছে বারবিকিউ। এছাড়াও পিকনিক, কনফারেন্স, কনসার্ট, বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য পার্কটি ভাড়া নেয়ারও সুযোগ রয়েছে।
পিডিএসও/রানা