রংপুর ব্যুরো

  ১৪ জুলাই, ২০২০

রংপুরে বন্যাকবলিত এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী, নোহালী, কোলকোন্দ, আলমবিধিতর, মর্ণেয়া, গজঘন্টা ও সদর ইউনিয়নের কিছু অংশে, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ও টেপামধুপর ইউনিয়নে এবং পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুল পুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তি এলাকা ও চরাঞ্চলে সম্প্রতি বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে করে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ মানবতার জীবনযাপন করছে। এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ করছে রংপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকার রবিউল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা চালু করায় আমরা নদী এলাকার মানুষ আনিন্দিত।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে বন্যাকবলিত এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা চালু রাখার স্বার্থে নলকূপ উচুঁকরন, নলকূপ মেরামত, নলকূপ জীবাণুমুক্ত করণ, অস্থায়ী নলকূপ ও ল্যাট্রিন স্থাপন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট/পাউডার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি চরাঞ্চলে পানি ভর্তি জেরিক্যান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা জানান, রংপুর জেলার ৩টি উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকায় ৬৯টি নলকূপ উঁচুকরণ, ১২টি নলকূপ মেরামত, ১৮টি নলকূপ জীবাণুমুক্তকরন, ৬টি অস্থায়ী নলকূপ স্থাপন, ১০টি ল্যাট্রিন স্থাপন, ২২৮৪০টি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ এবং ৩৯ কেজি ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা দপ্তর সমূহের ৩জন উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ ১৮জন নলকূপ মেকানিক ও ৬জন অন্যান্য স্টাফ নিয়োজিত রয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, রংপুর কর্তৃক বর্ণিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রংপুর,বন্যাকবলিত,নিরাপদ পানি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close