বাগেরহাট প্রতিনিধি

  ২০ মে, ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় লাখ মানুষ, শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই থেমে বৃষ্টিপাতের তীব্র বাতাস বইতে শুরু করেছে। সেই সাথে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণায় পর জেলার উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষ গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বাগেরহাটের ৯৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে নারী-শিশু ও বৃদ্ধসহ দেড় লাখ মানুষ ও ২০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, সময়ের সাথে সাথে বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে বৃষ্টির সাথে বাতাসের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় মালামালসহ আশ্রয়কেন্দ্রে গুলোতে আসচ্ছে। ইতোমধ্যেই এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ ও ২০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। সময়ের সাথে সাথে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রেগুলো সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করছি। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোর পাশাপাশি জেলা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৭ জন মানুষ ও প্রায় ৮৫ হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। কেন্দ্রেগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জনসাধারণের মাঝে মাক্স, গ্লোভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ১৩ মে.টন চাল নগদ ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ, গো খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ৮৪টি মেডিকেল টিম ও ৭টি ফায়ার সার্ভিস টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিপিপির মোট ১১ হাজার ৭০৮ জন স্বেচ্ছাসেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৫টি মেডিকেল টিম। খোলা হয়েছে ১০টি কন্ট্রোল রুম।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঘূর্ণিঝড়,আম্ফান,বাগেরহাট,আশ্রয়কেন্দ্র
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close