আবুজার বাবলা, শ্রীমঙ্গল

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

শ্রীমঙ্গলে আবারও ডিম দিয়েছে কালিম পাখি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে আবারও ডিম দিয়েছে একটি কালিম পাখি। একে একে পাঁচ দিনে ৫টি ডিম পেড়েছে কালিম পাখি।

ডিম পাড়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে ডিমে তা দিতে শুরু করেছে। শরীরের লোমের ফাঁক দিয়ে একটি ডিমের প্রায় পুরোটাই দেখা যায়। ডিমগুলোর রং সাদা। রাজহাঁসের ডিমের মতো এর আকৃতি।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, গত শনিবার থেকে কালিম পাখিটি ডিম দেওয়া শুরু করে। ঐ পাখিটি ডিম পেড়েছে ৫-টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৮-২০ দিন। ডিমে তা দেয়ার দায়িত্ব স্ত্রী পাখির ওপরে বর্তালেও ওই সময়ে পুরুষ পাখিটি বাসার কাছাকাছি থেকে স্ত্রী পাখিকে সঙ্গ দেয়। তিনি আরও জানান, এর আগেও ওই পাখিটি চার বছরে চারবার ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়েছে।

জলাভূমির পাখি কালিম। জল-ডাঙায় বিচরণের জন্য দুঃসাহসী, লড়াকু ও মারকুটে স্বভাবের। এ পাখির আরও এক বৈশিষ্ট্য আছে। পোষ মানলে আর উড়ে যায় না। এরা আমাদের দেশীয় জলচর পাখি। স্বভাবে বুনো হলেও মোটামুটি পোষ মানে। মুক্ত অবস্থায় এরা দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে। আবার একাকী বা জোড়ায় জোড়ায়ও বিচরণ করে। ওদের বিচরণের ক্ষেত্র জলাশয়ের জলদামের ওপর। আবার জলেও সাঁতার কাটে, তবে তুলনামূলকভাবে কম। জলকেলি ওদের ভীষণ পছন্দ। জলের ছোঁয়ায় রূপের ঝলক আরো বেড়ে যায়।

এ পাখির বাংলা নাম: ‘কালিম,’ ইংরেজি নাম: ‘পার্পল সোয়াম্পহেন’ (Purple Swamphen) বৈজ্ঞানিক নাম: ‘পরফাইরিও পরফাইরিও’ (Porphyrio porphyrio), গোত্রের নাম: ‘রাললিদি’। এরা লম্বায় ৪৫-৫০ সেন্টিমিটার। ঠোট, কপাল পালকহীন উজ্জ্বল লাল। মাথা থেকে গলা হালকা নীলাভ বর্ণ।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শ্রীমঙ্গল,ডিম,কালিম পাখি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close