বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

বিজয়নগরে এসএসসির ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহে ৭ জনকে অব্যাহতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে কেন্দ্রসচিবসহ ৭ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার। বিষয়টি নিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় কোনো তথ্য দিতে চাইছেন না। একাধিকবার ফোন দিলেও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফি উদ্দিন কিছু জানাননি।

অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও একই স্কুলের শিক্ষক আব্দুল আহাদ, হল সুপারের দায়িত্বে থাকা উপজেলার চাঁনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম জিলানী ও আর হল সুপার খাটিঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান পাঠান, দুটি কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা চাঁনপুর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল মিয়া ও মনির হোসেন এবং চাঁনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজীব সরকার ও জিয়াউর রহমান।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার মঙ্গলবার রাতে বলেন, ঘটনাটি উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব গোপন করে রেখেছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। বিকালে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্রে সচিবসহ ৪ জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণ মিলন হালদারকে প্রদান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত সোমবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কেন্দ্রের দুটি কক্ষে নিয়মিত শিক্ষার্থীদেরকে ২০২০ সালের বদলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেয়া হয় এবং তারা ওই প্রশ্নেপত্রেই পুরো পরীক্ষা দেয়। ওই কেন্দ্র ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীও ছিলো।

বিষয়টি গত সোমবার দুপুরে জানতে পেরেও কেন্দ্রসচিব গোপন রেখেছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ওই পরীক্ষার্থীদের একজন অভিভাবক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব, দুজন হল সুপার ও দুটি কক্ষের ৪ জন কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

এদিকে দুপুরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফি উদ্দিন ওই কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, কেন্দ্র সচিবসহ বাকিদের অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি শুনেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার আরও জানান, দায়িত্বরতদের ভুলের কারণেই এমন হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কাছে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর পাঠানো হবে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভুল প্রশ্নপত্র,এসএসসি পরীক্ষা,অব্যাহতি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close