খোরশেদ আলম, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

  ২০ জানুয়ারি, ২০২০

স্কাউট সদস্যদের যোগ্য ও দক্ষ হয়ে গড়ে উঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বঙ্গবন্ধুর নামের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙালি। এ বছর স্বাধীনতার সেই অগ্নিপুরুষের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। আগামী ১৭মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ঠিক ৮দিন আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত। গোটা দেশবাসী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয় নেতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য। ঠিক এমনি সময়ে ক্যাম্পুরী অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা সকলের নিকট স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করতে চেয়েছিলেন বঙঙ্গবন্ধু। আমাদের তরুণ প্রজন্ম, যারা,মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি, তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাংলাদেশ স্কাউটস আয়োজিত ৯বম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট মোঃ আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন।

রাষ্টপতি আরও বলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য। জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাসহ তার পরিবারের আপনজনদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের। দেশে আজ মুক্তিযুদ্ধের পতাকাবাহী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছেন। জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত– সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা এসব পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। তবে উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে জনগণকে ইতিবাচক, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উন্নয়ন যাত্রায় সামিল হতে হবে। স্কাউটিং কার্যক্রম পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক, প্রগতিশীল, সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তোলতে এবং সমাজকে এগিয়ে নিতে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ স্কাউট সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৯ লাখ থেকে ২১ লক্ষে উন্নীত করার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ২০২১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে ৩২তম এপিআর স্কাউট জাম্বুরী। আমি জেনে আরও আনন্দিত যে, স্কাউট সদস্য সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব স্কাউট সংস্থার ‘টপ ফাইভ কান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘এপিআর সাসটেনেবল গ্রোথ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। এজন্য আমি সকল পর্যায়ের স্কাউট ও স্কাউট নেতৃবৃন্ধকে অভিনন্দন জানাই। আগামী দিনে তোমরাই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তোমরাই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। সব সময় মনে রাখতে হবে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশ আমাদের। এ জন্য তোমাদের যোগ্য ও দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট ২০১৮ সালে স্কাউটদের সর্ব্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’ এবং রোভার স্কাউটদের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জনকারীদের মধ্যে অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাষ্ট্রপতি,স্কাউট সদস্য,যোগ্য,দক্ষ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close