হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)

  ১৭ আগস্ট, ২০১৮

কেন্দুয়ায় জমে উঠেছে পশুরহাট, দাম কমায় হতাশায় বিক্রেতা

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পশুরহাটগুলো। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় অনেকটাই হতাশায় রয়েছেন বিক্রেতারা। তবে শেষ মুহুর্তে হলেও দাম বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৫টি পশুরহাট বসেছে। এর মধ্যে কেন্দুয়া পৌরসভা পশুরহাট, চিরাং বাজার পশুরহাট, মাসকা বাজার পশুরহাট, সেনের বাজার পশুরহাট, রামপুর বাজার পশুরহাট, বেখৈরহাটি পশুরহাট ও হাঁসকান্দা পশুরহাট উল্লেখযোগ্য। তবে এসব হাটের মধ্যে সারা বছরই স্থায়ীভাবে প্রতি বুধবার চিরাং বাজারে, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সেনেরবাজারে এবং প্রতি সোমবার রামপুর বাজারে গরু-ছাগল ক্রয় বিক্রয় করা হয়।

উপজেলার চিরাং বাজার পশুরহাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে গরুর সরবরাহ প্রচুর পরিমাণে থাকলেও দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটা কম হওয়ায় বিক্রি তেমন একটা হচ্ছে না। তবুও যেসব গরু বিক্রি হয়েছে, তা শুধু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত গরুর বেপারীরাই (পাইকার) ক্রয় করেছেন।

বাজারে ষাঁড়গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা আবুল হাসেম জানান, গরুর বাজার দর খুবই কম। ভেবেছিলাম আমার ষাঁড়গরু ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পারব। কিন্তু তার দাম কষা হচ্ছে মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থেকে আসা গরুর বেপারী (পাইকার) আব্দুল হেকিম জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর বাজার দর কিছুটা কম হওয়ায় বেশ কিছু গরু ক্রয় করেছি। ছোট আকৃতির ষাঁড়গরু ৩০ থেকে ৪০ হাজার, মাঝারি আকৃতির ষাঁড়গরু ৪৫ থেকে ৬০ হাজার ও বড় আকৃতির ষাঁড়গরু ৭০ থেকে দেড়-দুই লাখেরও বেশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, এ বছর কেন্দুয়া পৌরসভা পশুরহাট, চিরাং বাজার পশুরহাট, মাসকা বাজার পশুরহাট, সেনের বাজার পশুরহাট, রামপুর বাজার পশুরহাট, হাঁসকান্দা পশুরহাটসহ ১৫টি হাটেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং হাটে যাতে জাল টাকা সরবরাহ না হয়, সেদিকেও সর্তক রয়েছে পুলিশ।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কেন্দুয়া,পশুরহাট,হতাশা,বিক্রেতা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close