ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের হাসাড়া পর্যন্ত মহাসড়ক প্রশস্ত করা হবে। এ জন্য ‘ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের হাসাড়া পর্যন্ত জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ নামের প্রকল্পটি হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা নিরাপদ ও উন্নত হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৯ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপিত হতে পারে। একনেকে অনুমোদন পেলে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ৮২ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ, ১১৫ দশমিক ৯৯ বর্গমিটার ইকুরিয়া স্থানে এসডিই আবাসিক ভবন, ইকুরিয়া স্থানে বাউন্ডারি দেয়াল, সড়কবাঁধ প্রশস্তকরণ, নতুন পেভমেন্ট, অ্যাপ্রোচ সড়ক, সার্ফেসিং, পিসি গার্ডার ও আরসিসি সেতু, আরসিসি সেøাপ প্রোটেকশন উইথ জিও-টেক্সটাইল, আরসিসি টো-ওয়াল এবং আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জ-হাসাড়া-বিরতারা-সিংপাড়া-কাজলপুর-নাগেরহাট সড়কটি মুন্সীগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা মহাসড়ক। সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৩ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার। যার মধ্যে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় পড়েছে ২৩ কিলোমিটার এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় পড়েছে দশমিক ৮৯ কিলোমিটার। এ সড়কটি ঢাকা-মাওয়া জাতীয় মহাসড়ক এবং জিনজিরা-কেরানীগঞ্জ-নবাবগঞ্জ-দোহার-শ্রীনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ্মাসেতু প্রকল্প শেষ হলে ঢাকা-মাওয়া সড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবে এ সড়কটির গুরুত্ব অনেকাংশে বাড়বে। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, সিরাজদিখান ও শ্যামনগর উপজেলাসহ ফরিদপুরের গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিজাতপণ্য প্রতিনিয়ত রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা-মাওয়া সড়ক ছাড়া বিকল্প সড়ক হিসেবে নতুন সড়কটি ব্যবহার করবে। সড়কটি রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি উপজেলা হওয়ায় কেরানীগঞ্জ, সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা সহজে ও দ্রুত সময়ে রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারবে। এ জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ৩৯২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ওপর চলতি বছরের ৩ জুলাই পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

"