নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ অক্টোবর, ২০১৯

‘ইকোনমিক জোনে অলআউট সাপোর্ট দেওয়া হবে’

জাপানি মোটরসাইকেল নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হোন্ডার মতো বাংলাদেশে অন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে, যেখানে অলআউট সাপোর্ট দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেছেন, মাত্র ৯ থেকে ১০ মাসের মধ্যে এই (হোন্ডা) ফ্যাক্টরি সেটআপ করেছে। এটা একটা উদাহরণ, বাংলাদেশে কম সময়ে ব্যবসা করা যায়।

গত শনিবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকার আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চলে হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকের প্রশ্নে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, অন্য জাপানি যে কোম্পানি আছে, তারাও হোন্ডার দেখাদেখি চলে আসবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও আসবে। আবদুল মোনেম গ্রুপ এই স্পেশাল ইকোনমিক জোন খুব অল্প সময়ে ভালো উন্নয়ন করেছে বলে জানান তিনি।’

অন্যান্য ইপিজেডের অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের সরকার থেকে যে পরিকল্পনা, সেটা হলো ইকোনমিক জোনে অলআউট সাপোর্ট দেওয়া হবে। তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হলে সেটা জরুরি ভিত্তিতে সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোথাও কোনো শিল্প-কারখানা যদি কোনো সমস্যা ফেস করে, আমাদের বললে সেটা সুরাহা করা হবে। স্পেশাল ইকোনমিক জোন অথরিটি আছে, এ ব্যাপারে তারাও কাজ করছে বলে জানান তিনি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনে অসাধারণ কর্মতৎপরতা চলছে, মাতারবাড়ীতে শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিটি ইকোনমিক জোনে না হলেও চার ভাগের এক ভাগ জোনের প্রগ্রেস খুব ভালো।’ ইকোনমিক জোনের কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে চলেছি।’

প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জে ২৫ একর জমির ওপর প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে শিল্প-কারখানাটি গড়ে তুলেছে হোন্ডা ও শিল্প-মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। প্রাথমিকভাবে এই ফ্যাক্টরিতে বছরে এক লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্যানুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close