নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩১ মে, ২০১৮

পল্লী বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে ৪৫১ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

গ্রাম, চর ও দ্বীপাঞ্চলে বসবাসকারী ১ কোটি মানুষকে সৌরবিদ্যুৎ, বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে ও জ্বালানি সাশ্রয়ী চুলার সম্প্রসারণে ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সরকার পল্লী এলাকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার সম্প্রসারণে প্রতি ডলার ৮২ টাকা হারে ৫ দশমিক ৫ কোটি ডলার বাংলাদেশি মুদ্রাায় প্রায় ৪৫১ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এছাড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী পরিচালক ও সিইও মাহমুদ মালিক এবং চিমিয়াও ফানের মধ্যেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ঋণসহায়তা বিশ্বব্যাংকের আইডিএ তহবিল থেকে দেওয়া হবে। এ ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে এবং উত্তোলিত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। এই প্রকল্পের অতিরিক্ত অর্থায়নে ঋণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বব্যাংক বোর্ডে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল অনুমোদিত হয়।

কাজী শফিকুল আযম বলেন, প্রকল্পটির সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিশ্বব্যাংক অতিরিক্ত অর্থায়ন করছে। এ অংশ বাস্তবায়নে নারীপ্রধান পরিবারগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, জ্বালানি চাহিদা মেটানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিবেশসম্মত জ্বালানি নিশ্চিত করছে।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বলা হয়, মূল প্রকল্পটির জন্য (১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য) ঋণ চুক্তি ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জুন প্রথম অতিরিক্ত অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৫০ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছিল। সে সময় চুক্তি হয় প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাওয়ার সেল ও ইডকলের মধ্যে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ ইন্ডিকেটর অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন সুবিধাভোগীর কাছে নবায়নযোগ্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে অর্জিত হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে মধ্যে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ দশমিক ২ মিলিয়ন বা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে ইডকল’র সাফল্যের জন্য সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার মিনি গ্রিড এবং উন্নত চুলা স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক আইডিএ তহবিল থেকে শুধু ইডকলকে দ্বিতীয়বার অতিরিক্ত অর্থায়নে ঋণ সহায়তার প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ হবে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

বর্তমান প্রকল্পের তিনটি কম্পোনেন্ট রয়েছে, অ্যাসেস চু ইলেকট্রিসিটি, হাউনহোল্ড অ্যানার্জি এবং সেক্টর টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্সের আওতায় শূন্য ৪ মিলিয়ন উন্নত চুলা ১ হাজার সোলার ইরিগেশন পাম্প এবং ৩০টি সোলার মিনি গ্রিড স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত উন্নত করার জন্য সরকাররের নীতি বাস্তবায়নে এবং একইসঙ্গে জলবায়ু ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক অবদান রাখবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist