নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ জানুয়ারি, ২০১৮

ফের চালের বাজারে অস্থিরতার শঙ্কা

শেষ হয়েছে চাল আমদানিতে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার সময়। এর ফলে চালের দাম আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। ব্যবসায়ীরা এই বিষয়টি ব্যবহার করে বাড়তি মুনাফার সুযোগ নিতে পারেন বলে তাদের মত। এর সমাধানে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের শর্ত শিথিলের মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ ক্ষেত্রে আবার একমত নন পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, চাল ব্যবসায়ীরা যে কথা বলে এই সুবিধা আদায় করেছিলেন, সে কথা রাখেননি তারা। চালে ঠিকই বাড়তি মুনাফা করছেন। অথচ এতে পাট খাতের ক্ষতি হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা ভুল বার্তা দিয়ে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারে তাদের কারখানা চালুর চেষ্টা করছে। তাই এখন থেকে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত ও পলিথিনের বিরুদ্ধে আবার অভিযানে নামতে চায় তারা।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীরা ঠুনকো অজুহাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার শিথিলের অভিযোগ করেছেন। এটা তো বন্ধ ছিল। চালের দাম কি কমেছে? সচিব বলেন, ৩১ ডিসেম্বর টাইম ফ্রেম শেষ। এখন আবার অভিযান চলবে। আমরা শুধু ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের শর্ত শিথিল করেছিলাম। কারণ, ওই দেশ দুটিতে পাটের ব্যাগ উৎপাদন হয় না। আর বাকি ক্ষেত্রে আমাদের শর্ত বহাল ছিল। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, পাটের ব্যাগে চাল আমদানির বাধ্যবাধকতা থাকলে খরচ বেশি পড়ে। এ সুবিধা না থাকলে এই বাড়তি খরচটা চাল বিক্রি করেই তুলে নিতে হবে। চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীদের আবেদনে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে খাদ্য আমদানিতে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নিয়ম শিথিল করে সরকার। এই বিশেষ সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। ফলে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিতে এখন ফের অভিযানে নামছে সরকার। যদিও খাদ্য মন্ত্রণালয় চাইছে শিথিলের মেয়াদ আরো কয়েক মাস বাড়ানো হোক। খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসানের মতে, আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহারের শর্ত আরো ছয় মাস শিথিলের জন্য পাট মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠাব। এ বিষয়ে পাটসচিব বলেন, এ রকম কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি। আসলে সেটি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত করা হবে। এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছিলেন, অনেক চাল মিল মালিকের প্লাস্টিকের (পিপি) ব্যাগ তৈরির কারখানা রয়েছে। চটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় সেসব কারখানা প্রায় বন্ধ হওয়ার সম্মুখীন। তাই অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীদের ভুল বুঝিয়ে ওই কারখানাগুলো আবার চালু করতে চাইছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, গত বছর চালের দামবৃদ্ধির অস্থিরতায় সুযোগ নিয়ে চটের বদলে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার হলে চালের দাম কমবে এই অজুহাত দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist