গাইবান্ধা প্রতিনিধি

  ১১ আগস্ট, ২০২০

গাইবান্ধায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বকশিশ না দেওয়ায় গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবদুর রহিম নামে এক মাস বয়সি এক শিশুর অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিশুটির স্বজনরা। এ ঘটনায় গত রোববার শিশু বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. খায়রুন নাহারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হচ্ছেনÑ সদস্যসচিব আবাসিক চিকিৎসক ডা. হারুন অর রশিদ ও সদস্য ইএমও ডা. সুমন কুমার প্রামাণিক। এ তদন্ত কমিটি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে।

অভিযোগে জানা গেছে, শিশু আবদুর রহিমকে শ^াসকষ্টজনিত চিকিৎসার জন্য শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বিকালের দিকে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত নার্স রিমা আক্তার ও আয়া রেহেনা আক্তার শিশুটির স্বজনদের কাছে বকশিশ চান। স্বজনরা শিশুটির বাবা মোশারফ হোসেন নামাজ পড়তে গেছেন এসে বকশিশ দেবেনÑ এমন কথা বলেন। কিন্তু এতে তারা আশ^স্ত না হয়ে অক্সিজেন মাস্কটি খুলে দেন। কিছুক্ষণ পর শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির মা আনিছা বেগম বলেন, ‘আমরা একাধিকবার নিষেধ করার পরও নার্স ও আয়া জোর করে অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই আমার সন্তান মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’ শিশুটির বাবা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের নার্স ও আয়ার অবহেলায় আমার সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমি দোষীদের বিচার দাবি করছি।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নার্স রিমা আক্তার বলেন, ‘বকশিশ চাওয়ার ঘটনা সত্য নয়। মূলত অন্য একটি গুরুতর অসুস্থ শিশুর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারটি স্থানান্তর করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, আগে থেকেই শিশুটির অবস্থা খারাপ ছিল। আবাসিক চিকিৎসক ডা. হারুনর রশিদ বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নবিউর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে হাসপাতালের কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close