পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২০

আসামে গ্রেফতার ৫ জঙ্গির সঙ্গে বর্ধমান বিস্ফোরণের সংযোগ রয়েছে

ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আসামের বরপেটায় গ্রেফতার ৫ জেএমবি জঙ্গির সঙ্গে বর্ধমান ও খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার যোগ রয়েছে। শুধু যোগই নয়, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ও বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত শাহানুর আলমের সঙ্গে একসঙ্গে শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল বড়পেটায় ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের মধ্যে অনেকে। এনআইএ গুয়াহাটি আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে এই তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসামের বরপেটায় একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়ির মালিক হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, সে একজন প্রশিক্ষিত জেএমবি জঙ্গি। তল্লাশিতে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বিস্ফোরক। উদ্ধার হয় জিহাদি বইপত্র। এছাড়াও আসামের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নথিপত্রও উদ্ধার হয়। তার মধ্যে একদিকে যেমন ছিল জেএমবির নথি, তেমনই আলফার নথিও উদ্ধার হয়। এরপর ধৃত হাফিজুরকে জেরা করেই আরো ৪ জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হলো ইয়াকুব আলি, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মহম্মদ হাফিজ সফিকুল ইসলাম।

এরপরই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে জানা যায়, ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকান্ডের কিছু আগেই শাহানুর আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় বড়পেটার অভিযুক্তদের। শাহানুরই তাদের জেএমবিতে নিযুক্ত করেন। শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণ দেয়। বিস্ফোরণের ঘটনাতেও ধৃতদের যোগ মেলে। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে অল আসাম লিবারেশন ফ্রন্টের (আলফা) সঙ্গে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনাও করেছিল এরা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলা ও আসামের জেএমবি ইউনিট একসঙ্গে তৈরি হচ্ছিল। আসামে বসেই সব রাজ্যের জেএমবি ইউনিটকে একত্রিত করে শক্তিশালী হামলা করার ছক কষা হচ্ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close