কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
একজনের মৃত্যুদন্ড
কিশোরগঞ্জে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে শাহ আলম (২২) নামের এক যুবককে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার আসামির উপস্থিতিতে এই দন্ডাদেশ দেন। রায়ে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত শাহ আলম কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল নয়াপাড়া এলাকার মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ মে রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকার অটোরিকশা চালক নয়ন মিয়ার স্ত্রী মোছা. শামীমা তার দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। কাজ শেষে রাতে বাসায় ফিরে নয়ন মিয়া তার ছোট মেয়ে আফরোজাকে (৪) বিছানায় দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাসা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গাইটাল বাগানবাড়ি এলাকায় উলঙ্গ ও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ভোরে পুলিশ ধর্ষণকারী শাহ আলমকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে।
আসামি শাহ আলম স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন, রাতে ওষুধ খেয়ে তার নিজ মাকে খুঁজতে নয়ন মিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। মাকে না পেয়ে নয়নের বাড়িতে প্রথমে ঘুমন্ত বড় মেয়ে মীমকে টানাটানি করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ঘুমন্ত ছোট মেয়ে আফরোজাকে নিয়ে আধা কিলোমিটার দূরে একটি মসজিদের পাশের গলিতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় আফরোজা চিৎকার করলে শাহ আলম তাকে গলা টিপে হত্যা করেন।
"