সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সাতক্ষীরার প্রতিমাশিল্পীরা
দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরার প্রতিমাশিল্পীরা। চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। এখন রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে প্রতিমা। ফুটে উঠেছে নাক-কান, চোখ-মুখ। তবে পূজা উদযাপনে সাতক্ষীরার মানুষের আতঙ্ক কাটেনি। ২৫ সেপ্টেম্বর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
এ বছর জেলার ৭টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নের ৫৬৪টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হবে। যা গত বছরের তুলনায় ১০টি বেশি। সম্প্রতি ৭ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ঘোষপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল কুমার ঘোষের ওপর নির্যাতন ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হন।
এ ছাড়া দেবহাটার গাজীরহাট, তালার পাটকেলঘাটা ব্রিজ, কুমিরা স্ট্যান্ড, সাতক্ষীরার মায়েরবাড়ি, কাটিয়া, ঝাউডাঙ্গা ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব কারণে আতঙ্ক কাটেনি। সাজসজ্জার কাজ নিয়ে কেউ ছুটছেন দর্জিপাড়ায়। মা দুর্গার লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ির জরির কাজ, গণেশের ধুতিতে নকশাদার পাড় বসানো ও মহিষাসুরের জমকালো পোশাক তৈরির কাজ বাকি। আবার অনেকেই ছুটছেন কামারপল্লীতে। বানিয়ে নিচ্ছেন দেবীর হাতের চক্র, গদা, তীর-ধনুক ও ত্রিশূল। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রগুজিৎ গুহ জানান, আশাশুনির কচুয়া, দেবহাটার গাজীরহাট, তালার পাটকেলঘাটা ব্রিজ, কুমিরা স্ট্যান্ড, সাতক্ষীরার মায়েরবাড়ি, কাটিয়া, ঝাউডাঙ্গা এলাকায় একটু ঝুঁকি রয়েছে। যার ফলে সাধারণের মনে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তার জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সাদা পুলিশের একটা টিম থাকবে, আনসার-ভিডিপি থাকবে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইল টিম থাকবে। যে পূজা মন্ডপগুলোতে লোক সমাগম বেশি হয়, সেই সব এলাকায় পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স থাকবে। থাকবে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থাও। যেকোনো ধরনের নাশকতা, জঙ্গি হামলার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। সব বাধা পেরিয়ে, এবারের পূজা হবে বাঙালির অবাধ ও অসাম্প্রদায়িকতার মিলনমেলা।
"