ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ঝালকাঠি

সরিষা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক, অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা

ঝালকাঠিতে সরিষা চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কৃষক। ফলে অর্জিত হয়নি কৃষি বিভাগের সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা। জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৪৩৮ হেক্টর জমির, তবে চাষাবাদ করা হয়েছে ৩৭০ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের অভিযোগ, পাইকারী ক্রেতা না আসা বা প্রক্রিয়াজাত করণের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে অলাভজনক ফসল হিসেবে তারা ধরে নিয়েছেন। জমি কর্ষণ, বীজ বপণ, পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ সব মিলিয়ে যে পরিমাণ খরচ হয়, তাতে ফসল উৎপাদনের পর বাজারে নিয়ে খুচরা বিক্রি করে লাভ হয় না। তাই কৃষকরা আগের মতো সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন না।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরিষার চাষের জন্য মাটি হতে হবে এঁটেল দোআঁশ, বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত জমিতে ৩-৪টি ভালো করে চাষ ও মই দিয়ে বীজ বপন করতে হবে। হেক্টর প্রতি ইউরিয়া ২৭০-২৮০ কেজি, টিএসপি ১৮০-১৯০, মিউরেট অব পটাশ ৬০-৭০, জিপসাম ২৬০-২৮০ কেজি সার দিতে হয়। এছাড়াও প্রয়োজনে অন্যান্য সার দেওয়া যেতে পারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় সরিষা চাষে সদর উপজেলায় ১৯০, নলছিটি উপজেলায় ১৯০, রাজাপুর উপজেলায় ৩০ ও কাঠালিয়া উপজেলায় ২৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। তবে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১৯০, নলছিটি উপজেলায় ১২৫, রাজাপুর উপজেলায় ৩৫ ও কাঠালিয়া উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে। জেলায় চাষাবাদে মোট ঘাটতি রয়েছে ৬৮ হেক্টর জমি।

কাক্সিক্ষত চাষাবাদ অর্জিত হবার কারণ হিসেবে জেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ জালাল বলেন, পাইকারী ক্রেতা না আসা বা প্রক্রিয়াজাত করণের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে অলাভজনক ফসল হিসেবে তারা ধরে নিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close