শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ১১ নভেম্বর, ২০১৮

শাজাহানপুরে ৫৫০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আগাম সবজি চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছে চাষিরা। বাজারে আগাম সবজি তুলতে পারলে বেশী টাকা আয় করা সম্ভব সেই চিন্তা মাথাই রেখে চাষিরা চারা তৈরী ও সবজি চাষে ব্যাস্ত। শীতকালীন আগাম শাকসবজির চাষ করে মাঠ রাঙিয়ে তুলেছেন তারা। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী সবজি চাষ করা হয়। ইউনিয়ন গুলো হলো- মাদলা, চুপিনগর, আড়িয়া ও আমরুল ইউনিয়ন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী সবজির চাষ হয়। এবার উপজেলায় প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে এরমমধ্যে বেগুন ও শিমের চাষ বেশী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় চাষিরা আগাম সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। শীতের আগেই বাজারে বিক্রি করে বেশী টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে এখন চাষিরা শাক-সবজির চারা বপন ও পরিচর্যা কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলায় যে সব শাক-সবজি চাষ হয় সেগুলো হলো- লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, মুলা, বেগুণ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও শীম।

উপজেলার অনেক সবজি চাষি জানিয়েছেন, যে কোন সবজিই যদি মৌসুমের শুরুতেই বাজারে তোলা যায়, তাহলে দাম বেশী পাওয়া যায়। ক্রেতাদের কাছে তখন সবজির চাহিদাও থাকে ব্যাপক। পরবর্তিতে সবজির দাম কমতে থাকে।

কৃষক ফরহাদ আকন্দ জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে বেগুন, মরিচ, মুলা, লাউ, শিম, লালশাক ও পালং শাকের চাষ করছেন। এতে তার প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যদি আবাদ ভালো হয় তাহলে প্রায় ৫ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদী। এছাড়াও তিনি মৌসুমের শুরুতেই কিছু জমিতে শাক-সবজি লাগিয়েছিলেন সেগুলো এখন বাজারে বিক্রি করছেন।

কৃষক রোমান প্রামাণিক জানান, প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় করে দেড় বিঘা জমিতে তিনি বেগুন ও মরিচের চাষ করছেন। জমিতে আরও খরচ হবে। তবে ফলন ভালো হলে তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকার বেগুন ও মরিচ বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।

অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের পরামর্শ দিতে কেউ আসেনা। এমনকি কৃষি অফিসের কাউকেই তারা চিনেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান শহীদ সরকার এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close