অলিউজ্জামান রুবেল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

  ২০ আগস্ট, ২০১৮

সোনামসজিদ বন্দরে ট্রাক সংকট সরবরাহ না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হঠাৎ করে বাংলা ট্রাক সংকট হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজ সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রচন্ড গরমে ও ট্রাকের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে পেঁয়াজ। এতে করে ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। এদিকে, পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে ১০ টাকা কমে যাওয়ায় আমদানিকারকরা পড়েছেন বিপাকে।

বন্দর সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিশেষ আন্তরিকতায় এ বন্দর দিয়ে ব্যাপক পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বাংলাদেশি ট্রাক পাওয়া না যাওয়ায় বন্দরে পড়ে রয়েছে পেঁয়াজ। এদিকে, প্রচন্ড তাপ প্রবাহে আটকে পড়া পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। আর এতে করে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।

আমদানিকারক বাবুল হাসনাত দুরুল জানান, গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার যেন বৃদ্ধি না পায় সে জন্য ব্যবসায়ীরা কাস্টমসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বন্দরে শুধু পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখে। তবে বাংলা ট্রাক সংকটে এর সুফল খুব একটা পাওয়া যায়নি।

সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মইনুল ইসলাম জানায়, গত শুক্রবার ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দর থেকে ২৩৬ ট্রাক (৪৭২০ মেট্রিক টন) পেঁয়াজ আমদানি হয়। গত শনিবার স্থলবন্দরে প্রায় ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ এবং রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৮ ট্রাক পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশি ট্রাক সংকট ও পেঁয়াজের ক্রেতা কম থাকায় সোনামসজিদ বন্দরে আটকা পড়েছে অধিকাংশ পেঁয়াজ।

অন্যদিকে প্রচন্ড গরমের কারণে ট্রাকেই পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বলে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন। কিন্তু ট্রাক সংকটের কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশের অভ্যন্তরে দ্রুত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মঈন আলী জানান, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬ টাকার জায়গায় ১৬ টাকায় নেমে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোনামসজিদ ও মহদিপুর স্থলবন্দর খোলা রেখে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বাংলা ট্রাক সংকটে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা বলে শিকার করেন তিনি।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ট্রাক সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ট্রাক সংকটের কথা শিকার করে জানান, ট্রাকের বৈধ লাইসেন্সধারী চালক সংকট ও কোরবানির পশু পরিবহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close