নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

ডিএসকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

দুস্থ নারী উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে ডিএসসিসি

দুস্থ নারী উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল বুধবার ডিএসসিসির কামরাঙ্গীরচর এলাকার দুস্থ নারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ ঘোষণা দেন ডিএসসিসির দুই কাউন্সিলর। এ কর্মসূচীর আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)। এ অনুষ্ঠানে ১৫ প্রশিক্ষার্থীর হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়।

এ অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশ নেন, ডিএসসিসি’র ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরে আলম ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, ডিএসকে’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাহমিনা কবির ও অক্সফামের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রিফাত তানজিলা প্রমুখ।

ডিএসসিসির ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরে আলম বলেন, দেশের উন্নয়নে সব বিভাগে নারীরা অবদান রাখছে। কাজ করছে সবার সঙ্গে। বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের এ উন্নয়নের পেছনে কাজ করছে সরকারী বেসরকারী অনেক এনজিও। এসব এনজিও এবং দুস্থ নারী উদ্যোক্তা সকলকে সব ধরনের সহযোগীতা করবে ডিএসসিসি। ডিএসসিসির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দুস্থ ক্ষুদ্র নারী উদ্যেক্তাদের পরামর্শ ও অর্থনৈতিকভাবে সবধরনের সহযোগীতা করবে ডিএসসিসি। এসব ক্ষুদ্র নারী উদ্যেক্তাদের নাগরিক সনদ বিনামুল্যে দেয়া হবে। এছাড়া উদ্যেক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স করতে সমস্যা হলে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করা হবে। এসব নারী উদ্যেক্তাদের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের সাফল্য ঈর্ষনীয়। তাই তাদের সহযোগীতায় ডিএসসিসি সব সময় আন্তরিকভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএসকে’র প্রকল্প সম্পর্কে ধারণাপত্র তুলে ধরেন-প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাহমিনা কবির। এসময় তিনি বলেন, টেকসই জীবিকায়নের মাধ্যমে দেশের শহরের নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পটি দুই বছরের জন্য নেয়া হয়েছে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগীতা করছে জন লুইস ফাউন্ডেশন। এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হল-শহরে বস্তিতে নারীদের টেকসই জীবিকায়ন শিক্ষা দেয়া। রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে ৩ হাজার নারী প্রত্যক্ষ এবং আড়াই হাজার নারী পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো- শহরের বস্তিতে নারীদে টেকসই জীবিকার জন্য সামাজিক মানদন্ড চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা দেয়া। এ প্রকল্পটির অবস্থান ঢাকা ও গাজীপুর। প্রকল্পটিতে ৩ হাজার লোক সরাসরি ও আড়াই হাজার লোক পরোক্ষ সুবিধা পাচ্ছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এ প্রকল্প চলবে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close