ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

হাসলেন মুমিনুল-এনামুল

অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলীর সেঞ্চুরিতে মধ্যাঞ্চলকে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল পূর্বাঞ্চল। এরপর ৮ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে দলকে তিন দিনেই দারুণ এক জয় এনে দিলেন নাঈম হাসান।

বিসিএলের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে ৩২১ রানে জিতেছে পূর্বাঞ্চল। ৪৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মধ্যাঞ্চল গুটিয়ে গেছে ১৩৪ রানে। কাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করা পূর্বাঞ্চল শুরুতেই হারায় ইমরুল কায়েসকে। পরে থিতু হয়ে ফিরেন রনি তালুকদার। ১৭৫ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখান মুমিনুল ও ইয়াসির। ১০৬ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ১০০ রান করা মুমিনুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোশাররফ হোসেন। খানিক পর সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াসির। তার সেঞ্চুরির পরপরই ৩ উইকেটে ২৫৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল। ১০৯ বলে ১০ চার ও দুই ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির।

৪৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অফ স্পিনার নাঈমের ঘূর্ণিতে ৪২.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেরা বোলিং করে ৪৭ রানে ৮ উইকেট নেন নাঈম। একটি জায়গায় এখন সবার ওপরে এই তরুণ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অফ স্পিনারদের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এখন তার। ২০০৫ সালে বরিশালের বিপক্ষে ৬৭ রানে ৮ উইকেট নেওয়া খুলনার জামাল বাবুকে পেছনে ফেললেন নাঈম। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।

দিনের আরেক ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও পারলেন না এনামুল হক। তাকে থামিয়ে তৃতীয় দিন শিকার শুরু করা সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ছয় উইকেট। তবে ততক্ষণে বিশাল সংগ্রহ গড়ে ফেলেছে দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত উত্তরাঞ্চলের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ও দেখছে দলটি।

বিসিএলের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৬ রান। ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়াতে এখনো ৬২ রান চাই তাদের। জিয়াউর রহমান ১৫ ও ধীমান ঘোষ ৩ রানে ব্যাট করছেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল ৫ উইকেটে ৪০৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণাঞ্চলকে এগিয়ে নেন এনামুল ও মনির হোসেন। সানজামুল ১৮০ রানে থামান এনামুলকে। এই ওপেনারের ৩১৪ বলের ইনিংসটি গড়া ১৬ চারে। ১৫৮ রানে ৬ উইকেট নেন উত্তরাঞ্চলের বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল। টানা চার ম্যাচে অন্তত এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৯৩

দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : (আগের দিন শেষে ৪০৭/৫) ১২৫.৩ ওভারে ৫৪১ (এনামুল ১৮০, আল আমিন জুনিয়র ১২৮, মনির ৩৩, তুষার ১৪, রাজ্জাক ৩৫*, ইবাদত ২/৮৮, সানজামুল ৬/১৫৮, জিয়া ০/৩৪, সাকলাইন ১/১২৬)

মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৪৫৬) ৪২.২ ওভার ১৩৪ (সাইফ ৩১, শান্ত ৩৬, মার্শাল ১৬, জাকের ১৩, মোশাররফ ১১, আবু হায়দার ৪, তাসকিন ২*, শাহাদাত ০; তাইজুল ইসলাম ০/৬৪, নাঈম ৮/৪৭, খালেদ ০/১২, আবু জায়েদ ২/৮)

ফল : ৩২১ রানে জয়ী পূর্বাঞ্চল

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : নাঈম হাসান

উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস : ৫৮ ওভার ১৮৬/৫ (মিজানুর ১১, জুনায়েদ ৭৭, নাঈম ৬৭, জিয়া ১৫*, ধীমান ৩*; শফিউল ১/৩১, মনির ১/২৬, মেহেদি ১/৭১, রাজ্জাক ১/৪৫, নাহিদুল ১/৮)

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৪২৫

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২২৪

পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস : (আগের দিন শেষে ২/০) ৪৩ ওভারে ২৫৪/৩ ইনিংস ঘোষণা (রনি ২৪, ইমরুল ৮, মুমিনুল ১০০, ইয়াসির ১০১*, জাকির ১৫*; তাসকিন ১/৩৭, শাহাদাত ১/১৯, মোশাররফ ১/৮৯)

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close