ক্রীড়া ডেস্ক
জিম্বাবুয়েতে খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান
জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। অভিষেকের পর থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে আফ্রিকান দেশটি। তবে এবার মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখতে হচ্ছে তাদের। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলা হবে না তাদের। ২০১৯ বিশ্বকাপে যেতে হলে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল বাছাই পর্বের সাঁকো পার হওয়া। সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রা। ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে বাছাই পর্বের সুপার সিক্স থেকে। তবে সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে তারা এবার সামনের দিকে তাকাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে নিয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন জাতি সিরিজ।
জুলাই থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটিতে টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। তবে কোনো দলই টেস্ট খেলবে না। টুর্নামেন্টটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের নির্বাহী পরিচালক ফয়সাল হাসনাইন বলেন, ‘টুর্নামেন্টটিতে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মতো দুটি বড় দল অংশগ্রহণ করবে। দুই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জিম্বাবুয়েকে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’
এমনিতে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ভালো অবস্থানে নেই বহু দিন। এর মধ্যে ২০১৯ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে না পারায় এর জায়গা হারাতে হয়েছে জাতীয় দলের কোচ হিথ স্ট্রিক, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ স্টিফেন মঙ্গোগো, জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার ও নির্বাচক তাতেন্দা তাইবুকে।
ব্যর্থতা ঝেড়ে এবার সামনের দিকে আগানোর পদক্ষেপ নিয়েছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। সেই জন্য তারা ঘরের মাঠে নিয়মিত খেলার আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই বিষয়ে নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, ‘এবার থেকে ঘুরে দাঁড়াবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। বড় দলগুলোকে আহ্বান জানাবে জিম্বাবুয়েতে খেলার জন্য।’
সেই ধারায় তারা সফলও বলা চলে। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে রাজি করাতে পেরেছে।
"