আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২২ নভেম্বর, ২০১৯

মহারাষ্ট্রের দৃশ্যপটে ফের বিজেপি, ক্ষুব্ধ কংগ্রেস

ভারতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলেও দেশটির রাজনীতিতে এখনো সবচেয়ে বড় খবর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন। বিজেপি জোট থেকে বের হয়ে আসা শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেসকে নিয়ে রাজ্যটিতে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। কিন্তু এর মধ্যে নতুন গুঞ্জন উঠেছে।

ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা শারদ পাওয়ার সরকার গঠনে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে গুঞ্জনটা উঠেছে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার একান্ত বৈঠকের পর। কেননা দুই পক্ষের কেউই এই বৈঠক নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এনসিপি প্রধান শারদ পওয়ারের বৈঠক নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে কংগ্রেসেও। সরকার গঠনের আলোচনাকে কংগ্রেস-শিবসেনা ‘ইতিবাচক’ বললেও অবিশ্বাসের বাতাবরণ রয়ে গেছে সবার মধ্যে। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর রাতের আরেকটি ঘটনা এই গুঞ্জনে উসকানি দিচ্ছে।

গত বুধবার রাতে প্রথমে শারদ পওয়ারের বাড়িতে যান কংগ্রেস ও এনসিপির শীর্ষ নেতারা। বৈঠক শেষে দুই দলই ইতিবাচক আলোচনার দাবি করে আরো আলোচনা প্রয়োজন বলে জানান। মুখ্যমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি নিয়েও কথা হয়েছে তাদের মধ্যে। একমত হলে শিগগিরই রাজপালের কাছে চিঠি দেওয়ার কথাও বলেছেন।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে গত বুধবার আরেকটা গুঞ্জন বেশ চাউর ছিল। বলা হচ্ছে, শারদ পওয়ারকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি করার কথা ভাবছে বিজেপি। গত বুধবার রাতে বিজেপি নেতা নিরজ শেখরের বাড়িতে যান শারদ পওয়ার। এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তিনি মেয়েকে সঙ্গে করে সেখানে যান।

তবে তাদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে এ নিয়ে কেউই কিছু বলেননি। তাই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। মহারাষ্ট্রে অ-বিজেপি সরকার গঠনের এই সময়ে বিজেপির সঙ্গে এনসিপি প্রধানের এমন দফায় দফায় আলোচনার নেপথ্যে কী, এমন প্রশ্নও উঠে।

এনসিপি প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর নিরজ শেখরকে ডেকে পাঠান ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অমিত শাহ তার সঙ্গে কী নিয়ে কথা বলেছেন কিংবা মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের বিষয়ে শারদ পওয়ারকে কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কি না তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

আরেকটি ঘটনা ঘটে গত বুধবার দুপুরে সংসদ ভবনে মোদির সঙ্গে শারদ পওয়ার একান্ত বৈঠকের সময়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকের মাঝপথেই অমিত শাহকে সেখানে ডেকে নেন। তারপর সেই জল্পনা আরো বেড়েছে। মোদি-শারদের ওই বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস।

তবে মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার গণমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, চলতি বছর ভারী ও টানা বর্ষণে মহারাষ্ট্রের ৫৪ দশমিক ২২ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই রাজ্যের কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।

তবে তার এমন দাবি মেনে নিতে পারেননি অনেকে। কেননা মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন যখন গোটা দেশের বড় রাজনৈতিক আলোচনা তখন মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনে যিনি তোড়জোড় চালাচ্ছেন তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী আলোচনা হলো তা না জানতে পেরে শুরু হয়েছে জল্পনা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close