আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৮ মার্চ, ২০১৯

গোলান মালভূমি

ট্রাম্পের স্বীকৃতি : আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রত্যাখ্যান

সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলি ভূখন্ড হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে যে স্বীকৃতি দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গত সোমবার ওয়াশিংটনে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে গোলানকে ইসরায়েলের ভূখন্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করা গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, কুয়েত ও ইরান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ইস্যুতে তাদের আগের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ট্রাম্পের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, পোল্যান্ড ও বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে তারা জানান, গোলান মালভূমিতে ইসয়ায়েলের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করে তারা, যেটি ১৯৬৭ সালে দখল করেছিল ইসরায়েল।

বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। চীন, রাশিয়া, কানাডা ও লেবাননও ট্রাম্পের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব স্বীকার করে না তারা। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিরিয়ার জনগণ। বিভিন্ন দেশে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন হাতে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে তারা। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের সময় আগামী মাসে জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাওয়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশে ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে গোলান প্রশ্নে বিগত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে দিলেন ট্রাম্প। এদিকে সিরিয়া এ ঘটনাকে দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি ট্রাম্পের অবমাননা হিসেবে অভিহিত করেছে। সম্ভাব্য যেকোনো মূল্যেই গোলান মালভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

সিরিয়ার চলমান সংঘাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন করা রাশিয়া এ ঘটনার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় সতর্ক করেছে যে, এটি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকে নতুন করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে সিরিয়ার বিরোধীপক্ষকে সমর্থনকারী তুরস্ক জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অসম্ভব’ এ ঘোষণা মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানোর কথা জানায় তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close