আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র গুণ্ডার মতো করে দাবি করছে : উ. কোরিয়া
পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘গু-াদের মতো’ কৌশল ব্যবহার করে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়ার। পিয়ংইয়ংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেড় দিন ধরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর শনিবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ আসে, খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের। বিবিসি জানিয়েছে, ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবকে ‘অত্যন্ত সমস্যাজনক’ বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার এসব মন্তব্য এর কয়েক ঘণ্টা আগে ওই বৈঠক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যা বলেছেন তা থেকে স্পষ্টতই ভিন্ন। তার দুই দিনের পিয়ংইয়ং সফরে ‘অগ্রগতি হয়েছে’ বলে জানিয়েছিলেন পম্পেও। সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য কাজ করবে, কিমের এমন প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুরে দুই নেতার শীর্ষ বৈঠক শেষ হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে সে বিষয়ে তখন তেমন কিছু বলা হয়নি। পম্পেওর এবারের পিয়ংইয়ং সফরের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতিটি নিশ্চিত করা।
কিন্তু রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ প্রকাশিত উত্তর কোরিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্র নির্মূলে একতরফা চাপ প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠকের উদ্দীপনার বিরুদ্ধে চলে গেছে। উত্তর কোরিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিনিময়ে আমরাও কিছু নেব এটি চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ গঠনমূলক একটি প্রস্তাব নিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা করেছিলাম আমরা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য শুধু একতরফা গু-ার মতো দাবি নিয়ে এসেছে। ‘তাদের গু-ার মতো মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে যে দাবিগুলোতে, ধৈর্য হারা না হয়ে উত্তর কোরিয়া তা বাধ্যের মতো মেনে নিবে, এমন ধারণা করলে যুক্তরাষ্ট্র মারাত্মক ভুল করবে।’
এতে তাদের ‘পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সঙ্কল্প হোঁচট খেতে পারে’ বলে সতর্ক করেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া সফরে পম্পেও দেশটির নেতা কিম জং উনের ডান বলে বিবেচিত কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন তেমন একটা প্রকাশ করেননি পম্পেও, তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। ‘এগুলো জটিল ইস্যু, কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রায় সব ইস্যুতে অগ্রগতি অর্জন করেছি আমরা। কিছু ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে, অন্য ক্ষেত্রগুলোতে এখনো আরো কাজ করতে হবে’ বলেছিলেন তিনি।
"