কবিরাজ মুশাহিদ দেওয়ান

  ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

খাওয়া প্রয়োজন কচি গাজর

গাজর আমাদের হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। এই গাজরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। গাজরে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। বিটা ক্যারোটিন শিশু-বৃদ্ধ সবার চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের স্নায়ুকে করে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কচি গাজর খায়, তাদের চোখের অসুখ কম হয়। দেহে অনিয়ন্ত্রিত চর্বি কমাতে সাহায্য করে গাজর। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্যতালিকায় গাজর অবশ্যই থাকতে হবে। এছাড়াও গাজর রক্তের প্রধান উপাদান লোহিত রক্ত কণিকাকে দীর্ঘজীবী করে। এতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে এই গাজর ও এটি মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে দ্বিগুণ কর্মক্ষম করে তোলার মাধ্যমে মানুষের মেধাশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। নতুন দাঁত বের হয়েছে বা সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে পারে, এমন শিশুদের জন্য গাজর দিয়ে তৈরি খিচুড়ি যথেষ্ট উপকারি। গাজর খেলে দাঁতের মাড়ির দুর্বলতা কমে, খাবার হজম হয় ভালোভাবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় উপাদান। এই উপাদান দেহের কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ গাজরে অনেক বেশি, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে খনিজ লবণও রয়েছে পর্যাপ্ত হারে, যা মানুষের হাড়, দাঁত, নখ, চুলের জন্য বয়ে আনে সুফল। এক কথায় গাজরের পুষ্টিগুণ অনেক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একে মস্তিষ্কের জ্বালানিও বলা হয়ে থাকে। তাই সবারই প্রতিদিন একটি করে কচি গাজর খাওয়া প্রয়োজন। তবে ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গাজর কম খাওয়াই ভালো।

লেখক : আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ বিশেষজ্ঞ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close