একে অপরকে ভালোবেসেই বিয়ে করেন! হয়তো ছোটপর্দা না হয় বড়পর্দা, বলছি মিডিয়ার গল্প। একটি প্রশ্ন সব সময় দর্শক মনে নাড়া দেয়। কেন তারকাদের এই বিবাহবিচ্ছেদ। কেন মিডিয়ার সেলিব্রিটিদের সম্পর্কের দৌড় বেশি দূর যায় না। ছোটপর্দা আর বড়পর্দা বা মিউজিক মোটকথা পুরো মিডিয়ায় যেন সংসার ভাঙনের সুর বেজেই চলছে! একের পর এক বিচ্ছেদের ঘটনায় দর্শক মনে তৈরি হচ্ছে নানা প্রশ্ন। সে তালিকায় যোগ হয়েছে ছোটপর্দার মডেল অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়ার নাম। তার স্বামী নির্মাতা রাফসান আহসানের সঙ্গে গত ২১ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাজী অফিসে ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে তারা চুপ ছিলেন দুজনই। তবে গত শনিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ করেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, স্পর্শিয়ার সংসার ভেঙে গেছে। তবে কেন এই বিচ্ছেদ-এমন প্রশ্নে রাফসান বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না এবং নেইও। আমরা আসলে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। তাই দুজনের সিদ্ধান্তেই এই ডিভোর্স। তিনি আরো বলেন, আমরা দুজন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। পরিবারের সম্মতিতেই এ বিয়ে হয়। কিন্তু আল্লাহ হয়তো চাননি তাই বিয়েটা ভেঙে গেল। চেষ্টা করেছিলাম, তবুও সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে পারিনি। স্পর্শিয়া খুব ভালো মেয়ে, আমি চাই সে যেন ভালো থাকে। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন স্পর্শিয়া-রাফসান। গত ২১ আগস্ট তাদের ডিভোর্স হয়। কিন্তু কেন তা গোপন রাখতে চেয়েছেন-এমন প্রশ্নে রাফসান বলেন, ডিভোর্স হলেও আমি ও স্পর্শিয়া দুজনই চাইছিলাম সংবাদটি যাতে এখনই কেউ না জানে। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমার আহ্বান, দয়া করে কেউ আমাদের এই ডিভোর্স নিয়ে রঙ মাখিয়ে সংবাদ পরিবেশন করবেন না। রাফসান আরো বলেন, ডিভোর্সের মাসখানেক আগে থেকেই আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি। ডিভোর্সের সময় আমার এবং স্পর্শিয়ার কাছের বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন, তবে এখনো স্পর্শিয়ার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। গত শনিবার সে আমার বাসায় এসে আমার আব্বাকে দেখে গেছে। এ বিষয়ে স্পর্শিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, স্পর্শিয়া-রাফসান একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তখন থেকেই তাদের মধ্যে জানাশোনা শুরু হয়। এরপর রাফসানের পরিচালনায় বেশ কিছু নাটকে কাজ করেন স্পর্শিয়া। তারপর দুজনের মধ্যে প্রেম হয়। অতঃপর সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। রাফসান পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘লিডার’-এর নায়িকাও স্পর্শিয়া। এরই মধ্যে ছবিটির কাজ শেষ হয়েছে।

"