বিনোদন প্রতিবেদক

  ০৮ নভেম্বর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীর কাছে মা হত্যার বিচার চাইলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা

‘মাদার অব হিউম্যানিটি’খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মা হত্যার বিচার চাইলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক সিকদার। তিনি অভিযুক্ত ডা. দুলালের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ ভবিষ্যতে যাতে কোনো চিকিৎসক এমন অমানবিক কাজ করতে না পারেন- তারও দাবি জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে বিএফডিসির ফজলুল হক স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. দুলালের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত নয়নে রফিক সিকদার অভিযুক্ত ডাক্তারের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফরিয়াদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রপরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাহ আলম কিরন, বদিউল আলম খোকন, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন জেমী, সিবি জামান, চিত্রনায়ক ফারুক, ওমর সানী, জায়েদ খান, বাপ্পী চৌধুরী, নিরব, রফিক সিকদারের চাচা সাবেক সচিব ড. মজিবুর রহমানসহ অনেকে। চিত্রপরিচালক রফিক সিকদার তার বক্তব্যে আরো বলেন, আমার মায়ের বাম দিকের কিডনিতে কিছু সমস্যা ছিল। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ডা. দুলালের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। ওষুধ খেয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে গ্রামের বাসায় চলে যান। তার এক সহকারী প্রায় দেড় মাস পর ফোনে মাকে ডেকে আনেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি অপারেশন করেন। অপারেশন শেষ হওয়ার পর রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মায়ের ডান পাশের কিডনিটি কাজ করছে না। দ্রুত আইসিইউতে নিতে হবে। তবে তিনি এটাও জানান, বঙ্গবন্ধুতে আইসিইউ খালি নেই। এক দিন পর ইনসাফ আল-বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার হুমায়ুন রশিদ কবীর সেলিম মায়ের কিডনির অবস্থা পর্যালোচনার জন্য ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে সিটিস্ক্যান করতে বলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করার পর রিপোর্ট মারফত মায়ের পেটে কিডনির অস্তিত্ব নেই বলে জানতে পারি। অবস্থা বেগতিক দেখে বিআরবি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সামাদের দ্বারস্ত হই। মেডিকেল রিপোর্ট দেখার পর পর্যালোচনা করে এবং পুনরায় আলট্রাসনোগ্রাম করে কোনো কিডনির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ অক্টোবর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান আমার মা।

তিনি আরো বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব গড়িমসি করেন। তিনি আমাকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে আমার জোরাজুরিতে তিনি শুধু লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। মায়ের মৃত্যু নিয়ে মিডিয়ার খবর প্রচারের পর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃক্ষ তদন্ত কমিটি করে। সেখানে অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদকে প্রধান হিসেবে রাখা হয়। অথচ তিনি হলেন ডা. দুলালের কাছের বন্ধু এবং ব্যবসায়িক পার্টনার। তাই তদন্ত রিপোর্ট দিতেও কালক্ষেপণ করে গত ৫ নভেম্বর দেন। আর রিপোর্টেও ওই দোষী ডাক্তারকে এক প্রকার বাঁচানোর চেষ্টাই করা হয়েছে এটিকে দুর্ঘটনা দাবি করে। এই সুযোগে ডা. দুলাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছেন হেসে হেসে। যেন মনে করছেন অপরাধ করলেও এই দেশে কারো ক্ষমতা নেই, তার বিচার করার।’ প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে রফিক সিকদার বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই এই দোষী ডাক্তারকে গ্রেফতারে নির্দেশ দেবেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close