মহানগর (সিলেট) প্রতিনিধি

  ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

ভোট উৎসব

‘ভোট গ্রহণ বন্ধ আছে লাঞ্চ বিরতি চলছে’

দুপুরের খাবারের অজুহাতে অনির্দিষ্ট সময়ের বিরতি চলছিল কেন্দ্রগুলোতে

সিলেট নগরের আব্দুল গফুর ইসলামি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের লাঞ্চ বিরতি শুরু হয় সকাল ১২টায়। এ সময় ভোটাররা এলে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বলে দিচ্ছেন, ‘ভোট গ্রহণ বন্ধ আছে, লাঞ্চ বিরতি চলছে।’ এই লাঞ্চ বিরতি চলে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা একজন ভোটার বলেন, ‘সকাল ১২টা থাকি লাঞ্চ বিরতি চলছে তারার। বেলা আড়াইটার পর্যন্ত তিনবার আইছি। একবারও কেন্দ্রে ডুকতে দেয় নাই। আনসার কয় সবাই লাঞ্চ বিরতি চলে।’

গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট নগরের অনেক কেন্দ্রের চিত্রই ছিল এমন। অনির্দিষ্টকালের জন্য জন্য লাঞ্চ বিরতি নেন অনেক কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা। এই লাঞ্চ বিরতির সময় কেন্দ্রে প্রবেশ করা প্রধান ফটক বন্ধ রাখা হয়। তাই এসব কেন্দ্রে দায়িত্বরত কারো সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

নগরের ৭নং ওয়ার্ডের সুবিদবাজার নয়াবস্তি এলাকার হলিসিটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল কেন্দ্রেও দায়িত্বরতরা লাঞ্চ বিরতিতে যান সকাল ১১টা থেকে। সকাল সাড়ে এগারোটায় এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ভোটার মামুন হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাড়ে এগারোটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলাম কেন্দ্রের বাইরে। ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আনসার সদস্যরা। যখনই জিজ্ঞাস করি তখনই বরে সবাই লাঞ্চে। পরে বিরক্ত হয়ে চলে আসি। আমার মত আরো অনেক ভোটার এভাবেই চলে আসেন।’

সুবিদবাজার এলাকার পিটিআই স্কুল কেন্দ্রে লাঞ্চ বিরতি শুরু দুপুর ১টা থেকে আর শেষ হয় বিকাল পোনে চারটায়। এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেও ফিরত যেতে হয় ভোটারদের। বেলা ১টার পর থেকে ২ ঘন্টা এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল। তবে ভোট গ্রহন বন্ধ হলেও ভিতরে দায়িত্বরতরা নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অনেক ভোটার। বেশ কয়েকজন ভোটার বলেন, ‘তারাই যখন দরজা বন্ধ করে ভোট দিবেন, তো নির্বাচনের কি দরকার ছিল? এভাবে সাধারণ মানুষের আবেগ, ভালবাসা, অধিকার নিয়ে খেলা করার কোনো দরকার ছিল না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close