সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলনের মধ্যে গত বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে তার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন। তিনি বলেছেন, অনেক দিন আগেই এটা প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, এর আগে যত প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন হয়েছিল, তার প্রতিটির প্রতিবেদনেই কোটা ব্যবস্থা সংকুচিত করার সুপারিশ ছিল। কিন্তু সাহস করে কোনো সরকারই তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম সরকারি চাকরিতে কোটা না রাখার ঘোষণা দিলেন। একই সঙ্গে তিনি তরুণদের এই অভাবনীয় উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন, তারাও সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের বিষয়কে সবার সামনে তুলে আনার জন্য
তাদেরও অভিনন্দন।
একই সঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, শুধু কোটা সংস্কার করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যার মূলে হাত দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সর্বাগ্রে বাংলাদেশ কর্ম কমিশননের সংস্কার খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রকৃত মেধাবীদের চাকরি পাওয়া নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে। একই সঙ্গে বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতিরও সংস্কার করতে হবে। এসব সংস্কার কার্যকর করা গেলে কোটা সংস্কারের সুফল পাওয়া যাবে, অন্যথায় নয়। পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছেন। সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা না রাখার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা উল্লেখ করে দক্ষ রাজনীতিকের পরিচয় দিয়েছেন।
আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্ত এবং ঘোষণার প্রতি আমাদের সবার সম্মান প্রদর্শন করে কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার মাঝে যে সুফল নিহিত আছে, তা কার্যকর করার কাজে যুথবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া উচিত। একই সঙ্গে আমরা এটাও মনে করি, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে সংস্কারের আওতায় নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে এবং পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন যেন আজ সময়ের দাবি।
"