আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইয়াসির আরাফাতকে ‘হত্যার’ পেছনে সৌদি আরব!
ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা পিএলওর সাবেক নেতা ইয়াসির আরাফাতকে সৌদি আরবের পরামর্শে হত্যা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের আরবি বার্তা সংস্থা শেহাবকে দেীয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ইয়াসির আরাফাতের সাবেক শীর্ষ উপদেষ্টা বাসাম আবু শরিফ এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘আরাফাত পর্ব’ শেষ করার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মতি দেয়।
আবু শরিফ বলেন, সৌদি সরকার আরাফাতকে হত্যার অনুমতি দিয়েছিল এই কারণে যে, তারা ফিলিস্তিনের এ নেতাকে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি আলোচনার পথে বাধা হিসেবে দেখত।
হোয়াইট হাউসে বুশের সঙ্গে দেখা করে শ্যারন তার ভাষায় বলেছিলেন, তিনি আরাফাতের ওপর হামলা না করার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন না। কারণ আরাফাত শীর্ষ পর্যায়ের একজন সন্ত্রাসী এবং হামাসের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন; আরাফাতের সহযোগিতা সমর্থন নিয়ে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাচ্ছে।
আবু শরিফ বলেন, ওই আলোচনার পর বুশ সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি জানান। বুশের কথায় সৌদি সরকার আরাফাতকে হত্যার সিদ্ধান্তের বিষয়ে একমত হয়।
ষাটের দশকে আরাফাত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করেছিলেন এবং ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি হাসপাতালে ৭৫ বছর বয়সে অজ্ঞাত রোগে মারা যান।
"