আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপাতত যুদ্ধে জড়াচ্ছে না ইরান-ইসরায়েল
ইসরায়েলের বাহিনী সিরিয়ায় ইরানি সেনাবাহিনীর ভিত্তি লক্ষ্য করে ভারী বোমাবর্ষণ করেছে। ইসরায়েল বলছে, অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইরানের ছোড়া রকেট হামলার জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুই তিক্ত শত্রুর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে এটিই সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘর্ষ।এর আগে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়েছে। তবে এবারের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় দুই দেশ সহসাই সরাসরি সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবিগদর লিবেরম্যান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের ওপর বৃষ্টিবর্ষণ করা হলে তাদের ওখানে বন্যা হবে।’
ইসরায়েল বলছে, ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এটাই সিরিয়ায় তাদের সবচেয়ে বড় হামলা। আর এ ঘটনায় ইরান ও ইসরায়েল নিজেদের মধ্যে সিরিয়ায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে হিজবুল্লাহ ও লেবাননও। যা বয়ে আনবে ভয়াবহ পরিণতি। তবে আপাতত যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে উভয়পক্ষ।
তবে মনে করা হচ্ছে, গত সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসায় ইসরায়েল সাহসী হয়ে উঠেছে। ইরানের ভিত্তি লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সবশেষ সামরিক কর্মকান্ড কিন্তু সেটাই নির্দেশ করে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সম্মুখসমর টার্গেট করে একটি রকেট হামলা চালিয়েছে। জবাবে সিরিয়ায় ইরানের সেনা ভিত্তিতে হামলা করা হয়েছে। এদিকে ইরানের গণমাধ্যম ইসরায়েলি ওই হামলাকে ‘নজিরবিহীন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ বলছে যে, মনগড়া অজুহাতের ভিত্তিতে ইসরায়েল সিরিয়ায় রকেট হামলা চালিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম ঘাসেমিকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, এই হামলা ছিল সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতার লঙ্ঘন। তিনি বলেন, এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার অধিকার সিরিয়ার আছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে সব ধরনের বৈরী এবং উসকানিমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউস ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইরানের রকেট হামলাকে নিন্দা করে বলেছে যে, এটি কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বিপজ্জনক । জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দুই পক্ষকেই উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছেন।
"