আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মাটির নিচে রহস্যময় গ্রাম
চীনের হেনান প্রদেশের সানমেনেক্সিয়ায় আছে রহস্যময় এক গ্রাম; যার অবস্থান মাটির নিচে। প্রায় ২০০ বছর ধরে এখানে মানুষ বসবাস করছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি রয়েছে। সেখানে বাস করছেন তিন হাজারের মতো মানুষ। বাকিরা এই জায়গা ছেড়ে আধুনিক ঘরবাড়িতে চলে গেছেন। অদ্ভুত এই গ্রামের ঘরগুলো মাটি থেকে কমপক্ষে ২২ থেকে ২৩ ফুট নিচে। আর এগুলো ৩৩ থেকে ৩৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা।
এই গ্রামে বসবাসকারী ইয়াং গুয়ারাং নামের এক নারী জানান, মাটির নিচে তার ঘরটি খুবই আরামদায়ক। কারণ, এটি শীতকালে গরম আর গরমকালে ঠান্ডা থাকে। মাটির নিচে তৈরি ওই ঘরগুলোতে শীতকালে তাপমাত্রা থাকে ১০ ডিগ্রি। আর গরমে এই তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় না।
ঐতিহাসিকদের মতে, চীনের পার্বত্য এলাকায় চার হাজার বছর আগে, ব্রোঞ্জ যুগে এ ধরনের বাড়ি তৈরি হতো। মাটির তৈরি এই ঘরগুলোকে বলা হয় ‘ইয়াংয়োডং’। এর অর্থ হলো গুহা ঘর। ছয় প্রজন্ম আগে এখানে মানুষের বসবাস শুরু হয়।
২০১১ সাল থেকে গ্রামটি চীনা ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। স্থানীয় সরকার এটি সংরক্ষণ করছে। আগামীতে পর্যটকদের জন্য গ্রামটি আরো আকর্ষণীয় করার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
গুহা ঘরগুলো বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব ধরনের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না এসব ঘর। সেই সঙ্গে এগুলো শব্দ নিরোধকও। অনেক পর্যটক গ্রামটিতে ঘুরতে আসেন। ২১ ইউরো দিলে এক মাসের জন্য মাটির নিচের এই গ্রামের একটি ঘর ভাড়া পাওয়া যায়। আর ৩২ হাজার ইউরো দিলে এখানকার একটি ঘর কেনাও যায়।
"