প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রাম রহিমের ডেরায় ৬০০ কঙ্কাল!

দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ডেরায় ৬০০ কঙ্কাল মাটিচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার টাইমস অব ইন্ডয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি হরিয়ানার সিরসায় রাম রহিমের ডেরার ব্যবস্থাপক বিপাসনা ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পি আর নাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)। ওই জিজ্ঞাসাবাদেই পি আর নাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে রাম রহিমের ঘনিষ্ঠ সহচর পি আর নাইন বলেন, ডেরায় হত্যার পর কমপক্ষে ৬০০ কঙ্কাল মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। জার্মানির একজন বিজ্ঞানীর পরামর্শে মাটিচাপা দেওয়া ওই কঙ্কালগুলোর ওপর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ তদন্ত দলকে দেওয়া জবানবন্দির সপক্ষে পি আর নাইন ও বিপাসনা যথেষ্ট প্রমাণও উপস্থাপন করেছেন। রাম রহিমের অনুসারী এক নারী অভিযোগ করেছেন, ডেরায় সেবার জন্য সন্তানকে পাঠিয়ে গত ১২ বছর ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। হরিয়ানার পানিপথের ওই নারীর অভিযোগ, তিনি রাম রহিমের একজন ভক্ত। সেবার জন্য সন্তানকে ডেরায় পাঠাতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ডেরা কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞাপন দেখেই তিনি দুই মাস বয়সী সন্তানকে ডেরায় রেখে এসেছিলেন। এরপর থেকে ওই সন্তানের আর কোনো খোঁজ নেই।

এর আগে ডেরায় থাকা কমপক্ষে দুই হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন এক সাধ্বী। রাম রহিম কারাগারে যাওয়ার পর থেকে হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেখানে অভিযানের শুরুর দিকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ জব্দ করা হয়। ডেরার ভেতরে সাধ্বী হোস্টেলে রাম রহিমের সরাসরি যাতায়াত ছিল। ওই যাতায়াতের জন্যই দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। ডেরার ‘গুফা’ থেকে সাধ্বী হোস্টেল পর্যন্ত একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার ডেরায় পানির নিচে গোপন ‘সেক্স কেভ’ বা ‘যৌন গুহার’ সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডেরার প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল রয়েছে, তার নিচেই ওই ‘যৌন গুহা’ গড়ে তুলেছিলেন ডেরাপ্রধান রাম রহিম। গোপন গুহায় নারীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করতেন তিনি। রাম রহিমের ডেরায় শত শত আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও ভিডিও চিত্র সাংবাদিকের বিশাল একটি দল অভিযান চালিয়ে এই গুহার সন্ধান পায়।

দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে করা দুটি মামলায় রাম রহিমের ২০ বছরের কারাদ- হয়েছে। এরপর তাকে নেওয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। এতে রাম রহিমের সমর্থকরা পঞ্চকুলা এলাকায় তান্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত। এদিকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি ও সাবেক ডেরা ব্যবস্থাপক রণজিৎ সিং হত্যা মামলার বিচার চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist