হাসান ইমন

  ২৫ জুন, ২০১৭

ক্রেতার ঢল, দম ফেলার সুযোগ নেই দোকানিদের

আগামীকাল বা পরশু ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে শপিংমলগুলো এখন জমজমাট। পিছিয়ে নেই ফুটপাতও। পাল্লা দিয়ে ভাসমান দোকানিরা ঈদের বাহারি পোশাক নিয়ে বসেছে মসজিদের সামনে এবং জনাকীর্ণ এলাকাগুলোতে। রমজানের শুরুর দিকে যে চিত্র দেখা গেছে, এখন আর সেই অবস্থা নেই। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট-শপিং মলে ছিল মানুষের ঢল। দোকানিদের দম ফেলার ফুরসত নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনাকাটার জন্য নগরীর সব শপিং মলে ভিড় করছে ছোট-বড় সব বয়সী ক্রেতা। লেগেছে কেনাকাচার ধুম।

ঈদে যারা বাড়ি যাবে, তারা কেনাকাটা করার জন্য ভিড় করেছে মার্কেটে মার্কেটে। ভিড়ের কারণে অনেক মার্কেটের পাশ দিয়ে হাঁটার উপায় ছিল না। গরমেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কাক্সিক্ষত বেচা-বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি। আবার অনেকে এক মার্কেটে জুতা কিনেছে, তো আরেক মার্কেটে গেছে পোশাক কিনতে। গতকাল রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বিভিন্ন শপিং মল এবং নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, বঙ্গবাজার, ফার্মগেট ও মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেছে এই চিত্র।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, এসব শপিং সেন্টারে দেশি-বিদেশি নামিদামি বাহারি রঙের পোশাক থরে থরে সাজানো রয়েছে। মেয়েদের থ্রি-পিস, শাড়ি, থান কাপড়, দেশি-বিদেশি তাঁতের শাড়ি, শিশুদের বাহারি রঙের ও ডিজাইনের পোশাক, জুয়েলারি, কসমেটিকস, ব্যাগ, স্যান্ডেল এবং জুতাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া গরমের কথা মাথায় রেখে দোকানগুলোতে রয়েছে সুতি পোশাকের সমারোহ। বিভিন্ন দোকানে মিলছে ১২০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দামের পোশাক। রয়েছে জামদানি, টাঙ্গাইল, জর্জেট, কাতান ও দেশি-বিদেশি তাঁতের শাড়ির বিশাল সমারোহ। রয়েছে গর্জিয়াস লেহেঙ্গা। এসব লেহেঙ্গার দাম ৭ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এদিকে, দেশি পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পোশাক। ‘বাহুবলী-২’র পাশাপাশি রয়েছে ‘হুররাম সুলতান’, ‘শারারা’, ‘লাছা’, ‘সরকার-থ্রি’, ‘গ্রাউন’, ‘কারান-অর্জুন টু’, ‘মাত্রা’, ‘সেলফি’, ‘গ্যালাক্সি’, ‘ডিপ অ্যাঞ্জেল’ ও ‘পাঞ্চু’ নামক পোশাকে ছেয়ে গেছে বিপণিবিতান। মেয়েদের বাহারি এসব পোশাক ৮০০ থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এছাড়া ছেলেদের গেঞ্জি, টি-শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, পাঞ্জাবি এবং শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে দোকানিরা। এসব বিপণিকেন্দ্রে পোশাক বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ঈদের আর বেশিদিন বাকি না থাকায় কসমেটিকস ও জুয়েলারি পণ্যের দোকানে নারী ক্রেতার ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে। মার্কেটে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছে শিশুপণ্যের বিক্রেতারা। এখানে ছোট ছেলেমেয়েদের জামা-কাপড়ের সঙ্গে বিভিন্ন খেলনা বিক্রি করছে দোকানিরা।

এছাড়া জুতা-স্যান্ডেলের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মেয়েদের স্যান্ডেল ৩৫০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। কারুকাজ করা স্যান্ডেল ১২০০ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চামড়ার স্যান্ডেল ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শিশুদের স্যান্ডেল ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

গুলশান জব্বার শপিং সেন্টারে ঈদের বাজার করতে আসা ব্যাংককর্মী আনোয়ার বলেন, ‘এখানে অনেক ভালো কোয়ালিটির জিনিসপত্র পাওয়া যায়। বিভিন্ন দোকানে দেশি-বিদেশি নামিদামি বাহারি পোশাক পাওয়া যায়। তাছাড়া সব ধরনের জিনিস পাব বলেই এখানে এসেছি।’

বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে জব্বার শপিং সেন্টারের পোশাক বিক্রেতা শহীদুল বলেন, ‘এখন কথা বলার সময় নেই; বেচা-বিক্রিতে ব্যস্ত আছি। দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছি না। বিক্রি ভালো হচ্ছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist