বিনোদন প্রতিবেদক

  ০৯ জুলাই, ২০২০

এফডিসি ভাঙা শুরু প্রস্তুত কবিরপুরের ফিল্মসিটি

করোনাকালেই ভাঙা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)। বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে এফডিসির ৩ ও ৪ নম্বর ফ্লোর দুটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এফডিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩ ও ৪ নম্বর ফ্লোরের স্থানে গড়ে উঠবে ১৫তলা বাণিজ্যিক ভবন, যে ভবনে থাকবে আধুনিক শপিংমল ও সিনেপ্লেক্স।

নতুন এই প্রজেক্টের সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, গত ৫ জুলাই থেকে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা। এখানে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা অনেক আগের। মন্ত্রণালয়ে পাস হওয়ার পর সম্প্রতি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এফডিসির এই ৩ ও ৪ নম্বর ফ্লোর ভাঙার কারণে শুটিংয়ের কোনো সমস্যা হবে না। চাইলে কবিরপুর গিয়ে শুটিং করতে পারবেন। তবে নির্মাণাধীন ভবনেও দুটি ফ্লোর শুটিংয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩-১৪ সালের দিকে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছিলেন এফডিসিতে নির্মিত হবে ‘বিএফডিসি ভবন’। এফডিসিকে আধুনিকায়নের ও স্বাবলম্বী করার অংশ হিসেবে এটি করা হবে। মাঝে অনেকে ধরেই নিয়েছিল এটি আর হবে না। নানা জটিলতায় অবশেষে ভবন নির্মাণের অংশ হিসেবে ৩ ও ৪নং শুটিং ফ্লোর ভাঙার কাজ শুরু হলো।

আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, গত ৫ জুলাই থেকে এ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। এখানে ১২তলা ভবন নির্মিত হবে। যেখানে থাকবে সিনেমা হল, শুটিং ফ্লোর, সুইমিংপুল, আবাসিক হোটেল, স্টুডিওসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা।

দুটি ফ্লোর বন্ধ হয়ে গেলে পরিচালকদের সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ফিল্মসিটিতে অনেক আগে থেকেই শুটিং করা যাচ্ছে। ওখানে চাইলেই পরিচালকরা তাদের ছবির শুটিং করতে পারবেন।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্মসিটি অবস্থিত। ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফিল্মসিটির উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। ২০২১ সালে সেটি শেষ হওয়ার কথা।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে বিএফডিসি ভবন নির্মাণে ৩২২ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আয়তন ৯৮ কাঠা। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।

প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়া ডেস্টারাস কনসাল্টিং ফার্ম এফডিসি ভবনের নকশা প্রস্তুত করেছে। করোনাভাইরাসের কারণে ভবন নকশা অনুমোদনে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। নকশা অনুমোদন হলেই মূল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close