প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ জুলাই, ২০২০

কমছে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি

যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে। গাইবান্ধায় করতোয়ায় বাড়ছে পানি। হাতিয়ায় পানিবন্দি ৩ হাজার মানুষ। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টÑ

গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্রের পানি গতকাল মঙ্গলবার সকালে কমে গিয়ে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে বইছে। তবে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় করতোয়া নদীর পানি বাড়ছে। গত সোমবার বিকাল ৩টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে তিস্তার পানিও মঙ্গলবার সকাল থেকে বাড়ছে। সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ৯ ঘণ্টার তিস্তার পানি ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে করতোয়া ও তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাইবান্ধা নির্বাহী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, করতোয়ার পানি আগামী দুই দিনের মধ্যে থেমে যাবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এদিকে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট নদীর পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এ তিনটি উপজেলার ১৩টি পয়েন্টে গত দুই দিনে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও প্রচুর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমলেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি বইছে। অপর দিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটাার নিচ দিয়ে পানি বইছে।

এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজীপুর উপজেলারসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। জেলার বেলকুচি উপজেলা বড়ধুল ইউনিয়ন, এনায়েতপুরের বাহ্মনগ্রাম, কাজিপুরের খুদবান্দি, বিয়ারা, চরগিরিস, টেকানি ইউনিয়নসহ চৌহালী ও শাহজাদপুরে এরই মধ্যে দফায় দফায় নদীভাঙনে বিলীন হতে চলেছে বসতিবাড়িসহ ফসলি জমি, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা প্রতিষ্ঠান।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত চরঈশ্বর, সুখচর, নলচিরা ইউনিয়নে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিচু এলাকার ছয়টি গ্রাম প্লাবিত করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম জানান, গত কয়েক দিনের পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আগামী ৩-৪ দিন পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই হাতিয়া উপজেলার বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল ও মৎস্য খামার। তিনি আরো জানান, এ তিনটি ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নেই। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বেড়িবাঁধ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এগুলো মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে মন্ত্রাণালয়কে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close