বগুড়া প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

বগুড়ায় রাস্তার ২ পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অবশেষে উচ্ছেদ হলো রাস্তার দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা। দীর্ঘদিন থেকে এই স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা। গতকাল সোমবার শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের সামনে থেকে মাটিডালী বিমান মোড় পর্যন্ত ওই অভিযান চালানো হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়া শহরে রাস্তার দুই পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় সওজের যুগ্ম সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান ফারুকীর নেতৃত্বে সড়কের দুই পাশে ফুটপাতে গড়ে উঠা দোকানপাটসহ বসতবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়।

বগুড়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন থেকে একশ্রেণির প্রভাবশালী মহল সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল। সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে রোববার সারিয়াকান্দি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তিনি আরো জানান, ফুটপাতের পাশে সওজের জায়গায় গড়ে উঠা স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে এর আগে গণনোটিশ, বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়াসহ ওই এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সুবিল উচ্চবিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে স্কুলের পাশে রাস্তার সঙ্গে ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ওই স্থাপনাগুলোর তালিকা দিতে বলে। পরে কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্কুলের পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলোর তালিকা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন সওজকে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন। সুবিল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আল রাজী জুয়েল বলেন, স্কুলের পাশে অবৈধভাবে স্থাপনাগুলো গড়ে উঠার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় নানারকম সমস্যা হতো। আজকের এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘেœ ফুটপাত দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। সোমবার ওই উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল, পৌরসভার বাজার ইন্সপেক্টর আবদুল হাই, জেলা পুলিশ, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) ও ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট। এদিকে উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, ভবিষ্যতে যেন এই স্থানে আর কেউ অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেদিকে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close