বরিশাল প্রতিনিধি

  ২৪ মার্চ, ২০১৯

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনা

শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকরা মুখোমুখি

বরিশালে নিরাপদ সড়কের দাবি ও ঘাতক বাসচালককে আটকের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। গত শুক্রবার বরিশালের গৌরীরায়ের দীঘির পাড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহতের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। অন্যদিকে ঘাতক বাসচালককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা।

বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চালককে আটক করার প্রতিবাদে সকালে শ্রমিকরা অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের সব বাস চলাচল বন্ধ রাখেন। পরে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াত সাদিক আবদুল্লাহর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায় এবং দুপুরে বন্ধ থাকা বাস চলাচলও স্বাভাবিক হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএম কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি নথুল্লাবাদ হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। প্রথমে সেখানে সড়ক অবরোধ করে তারা। এরপর পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র চেক করে এবং ঘাতক চালকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে সেøাগান দেয়। এদিকে পুলিশ জানায় শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সড়ক অবরোধ সরিয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

তিনি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। পাশাপাশি যে দাবি-দাওয়া রয়েছে তা নিয়ে আগামীকাল সোমবার শিক্ষার্থী ও বাস মালিক-শ্রমিক নিয়ে বৈঠকে বসবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে মেয়র বলেন, আমিও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তবে সহিষ্ণু আন্দোলনের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর আশ্বসে তিন দিনের জন্য নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আর দুপুর সোয়া ১২টায় বাসশ্রমিক নেতা জাহাঙ্গির হোসেন জানান, চালককে থানায় আটকে নির্যাতন না করে আদালতে দ্রুত পাঠানোর দাবি জানিয়ে শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। যা দ্রুত কার্যকরের আশ্বাসে শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। ফলে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করছে।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল জানান, শ্রমিকদের সমস্যা আগেই সমাধান করা হয়েছিল। পরে সিটি মেয়র ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তারা ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। এখন বাস টার্মিনালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close