নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী

২০২০ সালের জুনে খুলবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

দেশের জনগণ ২০২০ সালের জুন থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রায় মৃত এই প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে এখন আর কোনো সমস্য নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে কাওলায় প্রকল্পের শুরুর পয়েন্টে কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাদের বলেন, আপনারা জানেন এই প্রজেক্টটি মরেই গিয়েছিল। মৃত প্রজেক্টটিকে জীবিত করা হয়েছে, ঝুলেই ছিল দীর্ঘদিন এই প্রজেক্ট। এখন এই প্রজেক্ট গতি পেয়েছে। মাঝখানে অর্থায়নের সমস্য ছিল। এখন এক্সিম ব্যাংক অব চায়না এই জানুয়ারি মাসেই ৮৬১ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। সঙ্গে আছে আইসিবিসি, তারা আরো ৪০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। এখন আর অর্থায়নের কোনো সমস্যা নেই। মার্চ নাগাদ সব টাকা এসে যাবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্প এলাকাকে তিন অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় অংশে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় অংশে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, জুনের অগেই প্রথম ফেজের কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় ফেজ ২০২০ সালের জুলাই নাগাদ হয়ে যাবে। আর তৃতীয় ফেজ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। অর্থাৎ তিন ধাপের কজ শেষ হবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রথম ধাপের কাজ ৫০ ভাগ, আর মোট কাজের অগ্রগতি ২০ ভাগ।

দ্বিতীয় ফেজের কাজ শেষ হলেই জনগণ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ফেজ সম্পন্ন হলে অপারেশনটা আমরা করতে পারব। প্রথম ফেজটা ফিজিবল হবে না। আগামী বছর জুলাই নাগাদ দ্বিতীয় ফেজের কাজ শেষ হলে অপারেশন শুরু হয়ে যাবে। প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

আগামী রোজার ঈদের আগেই মহাসড়কের সব ফ্লাইওভার ও সেতুর কাজ শেষ হবে বলেও জানান কাদের। আগামী রমজানের ঈদের আগেই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের তিনটি সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতুর কাজ সমাপ্ত হবে। কাঁচপুর সেতুর কাজ এরই মধ্যে শেষ পর্যায়ে, মেঘনা, গোমতী সেতুর কাজ জুনের আগেই শেষ হবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজও ঈদের আগে শেষ হবে। সেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোনাবাড়ীর ফ্লাইওভারের কাজ ৯৭ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া চন্দ্রা ফ্লাইওভার, ঢাকা-টাঙ্গাইলের পথে পাঁচটি ফ্লাইওভার, তিনটি আন্ডারপাস, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভুলতা ফ্লাইওভারের কাজ জুনের আগেই সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close