আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ আগস্ট, ২০১৮

অ্যাস্টন মার্টিনের ‘উড়ূক্কু গাড়ি’

উড়ুক্কু গাড়ির কনসেপ্ট বা ধারণা দেখিয়েছে বিলাসবহুল ও স্পোর্টস গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্টন মার্টিন। বৈদ্যুতিক এই ফ্লাইং ট্যাক্সিকে বলা হয়েছে ‘আকাশের জন্য একটি স্পোর্টস গাড়ি।’

চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ফার্নবরো এয়ারশোতে ৩ আসনের এই হাইব্রিড বৈদ্যুতিক যানটির ধারণা উন্মোচন করে অ্যাস্টন মার্টিন। আপাতত এটি একটি ধারণা হলেও ভবিষ্যতে যাতায়াত ব্যবস্থায় বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর।

ভোলান্টে ভিশন নামের এই উড়–ক্কু যানটি উল্লম্বভাবে উঠা-নামা করতে পারে। এটির সর্বোচ্চ গতি বলা হয়েছে ঘণ্টায় ৩২২ কিলোমিটার। অ্যাস্টন মার্টিনকর্মী সিমন স্প্রোউল বলেন, এই গতিতে বার্মিংহামের কেন্দ্র থেকে লন্ডনের কেন্দ্রে যেতে সময় লাগবে প্রায় আধ ঘণ্টা। ইতোমধ্যেই বৈদ্যুতিক ফ্লাইং ট্যাক্সি প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে প্লেন নির্মাতা এয়ারবাস, উবারসহ অনেক স্টার্টঅ্যাপ প্রতিষ্ঠান। স্টার্টঅ্যাপগুলোর মধ্যে একটি গুগলসহ প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজের কিটি হক। ভবিষ্যতে বিলাসবহুল উড়ূক্কু যানে আধিপত্য ধরে রাখার প্রত্যাশা করছে অ্যাস্টন মার্টিন। ‘স্পষ্টভাবেই এটি একটি বিলাসবহুল বস্তু, এটি আকাশে একটি স্পোর্টস গাড়ি, তাই এর দামও এটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, নিশ্চিতভাবেই তা ৭ অঙ্কের,’ বলেন স্প্রোউল। এই উড়–ক্কু যানটি তৈরিতে ইতোমধ্যে ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটি, ক্র্যানফিল্ড অ্যারো স্পেস সলিউশনস এবং বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েস এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে অ্যাস্টন মার্টিন। একই অনুষ্ঠানে ভিন্ন আরেকটি উড়–ক্কু যানের ধারণা দেখিয়েছে রোলস রয়েস। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ মাইল বেগে চার থেকে ৫ জন যাত্রী বহন করতে পারবে এই উড়ুক্কু যানটি। একবার পূর্ণ চার্জে ৫০০ মাইল দূরুত্ব পাড়ি দিতে পারবে এটি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close