সংসদ প্রতিবেদক
সংসদে বিমানমন্ত্রী
উড্ডয়ন নিরাপত্তায় বিশ্বের প্রথম সারির কাতারে বাংলাদেশ
বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তায় পৃথিবীর প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এটা আইসিইও সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ক্ষেত্রে উক্ত গড় অর্জন মাত্র ৬০ শতাংশ। ২০১৭ সালে বিমান-সংক্রান্ত আইসিএওর পরিচালিত কো-অর্ডিনেশন ভ্যালিডেশন মিশন নামক এক অডিটে এই স্বীকৃতি লাভ করেছে দেশ। সেখানে ফ্লাইট সেইফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিষয়ে বাংলাদেশ ৭৫.৩৪ শতাংশ ইফেকটিভ ইমপ্লিমেনটেশন অর্জন করেছে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মুহাম্মদ ফারুক খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল সংসদকে এই তথ্য জানান। বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়। সংরক্ষিত মহিলা এমপি সেলিনা বেগমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত বাংলাদেশিদের সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়নি। তবে সরকার নিহত যাত্রীদের দেশে দ্রুত আনায়ন করে তাদের আত্মীয়দের কাছে দাফন-সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া আহত যাত্রীদের দেশ-বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে সহায়তা প্রদান করেছে। তাছাড়া নিহত-আহত যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা যাতে বীমার টাকা দ্রুত পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে সরকার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ও সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানি একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে সংশ্লিষ্ট বীমার আর্থিক সহায়তা যথাশিগগিরই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
সংরক্ষিত মহিলা এমপি দিলারা বেগমের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের হাওরাঞ্চল পর্যটন আকর্ষণ-সমৃদ্ধ। এ কারণে সুনামগঞ্জস্থ টাঙ্গুয়ার হাওরে টেকসই দায়িত্বশীল পর্যটন ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে জলবায়ুসহিষ্ণু একটি প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় চাপটি হাওরে হাওরভিত্তিক পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
"