নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮

অনশনের ১৪ দিন

এসএসসি পরীক্ষা বর্জনের হুমকি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

জাতীয়করণের দাবি পূরণ না হলে এসএসসি পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। সেইসঙ্গে আজ সোমবার থেকে দেশের সাড়ে ৩৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা। গতকাল রোববার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনের ১৪তম দিনে এই হুমকি দিয়েছেন তারা। শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠনের জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের’ ব্যানারে এ অনশন চলছে। এতে অংশ নিয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও অনশনে যুক্ত হয়েছেন। শরীরে স্যালাইন দিয়েও অনেকে অনশনে রয়েছেন।

লিয়াজোঁ ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো আবদুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৪ দিন ধরে আমরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছি। দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। যদিও আমরা ৪ দফায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে বিষয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ কারণে সোমবার থেকে দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা এসএসসি পরীক্ষায় সব দায়িত্ব বর্জন করব।

লিয়াজোঁ ফোরামের এক সভায় শিক্ষক নেতারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয়করণের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজপথেই থাকবেন। দাবি পূরণ হলেই আমরা কর্মস্থলে ফিরে যাব।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে এ আন্দোলনে নেমেছেন। সারা দেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এতে যুক্ত রয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist