পাকিস্তানে সরফরাজদের বীরোচিত সংবর্ধনা
পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী অধিনায়ক সরফরাজও হতাশ করেননি ক্রিকেটপ্রেমীদের। হাসিমুখে সবার ভালোবাসা ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। এমনকি সমর্থকদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন। শত শত লোক চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ককে দেখানোর জন্য তাদের শিশুদের ঘাড়ে তুলে নেন। এ এক অপূর্ব দৃশ্য। এর আগে করাচি বিমানবন্দরে করাচির মেয়র এবং সিন্ধের ক্রীড়া মন্ত্রী সরফরাজকে সংবর্ধনা জানান এবং সিন্ধের ঐতিহাসিক টুপি এবং শাল পরিয়ে দেন। রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করে পাকিস্তান। আইসিসির ইভেন্টের ফাইনালে এটাই কোনো দলের সর্বোচ্চ রানে জয় পাওয়ার রেকর্ড।
চ্যাম্পিয়ন দলের পাঁচ খেলোয়াড় মোহাম্মদ আমির, জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক ও আজহার আলি ইংল্যান্ডেই রয়েছেন। বাকি ১০ জন ক্রিকেটার মঙ্গলবার ভোর রাতে দেশে ফেরেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা হাসান আলি লাহোর বিমানবন্দরে নামেন। তাকে পাঞ্জাব সরকার লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়। এসময় হাসানের সঙ্গে ছিলেন আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজম, অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ও ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। তাদের সবাইকেই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই অভিষেক হওয়া বাঁহাতি পেসার রুম্মান রইসও করাচি বিমানবন্দরে নামেন। স্পিনার শাদাব খান, ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল এবং অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। মিনি সংবর্ধনা শেষে হারিস শিয়ালকোটে এবং বাকি তিনজন রাওয়ালপিন্ডি নিজেদের বাড়িতে চলে যান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে অসাধারণ সেঞ্চুরি করে ম্যাচ-সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করা ফখর জামান পেশোয়ারে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন। সেখানে অসাধারণ সংবর্ধনা পান চার ম্যাচে যথাক্রমে ৩১, ৫০, ৫৭ এবং ১১৪ রানের ইনিংস খেলা ফখর। সেখান থেকে মারদানে নিজের জন্মভূমিতে যান তিনি। ফখর তার সফলতা উৎসর্গ করেন পাকিস্তান নৌবাহিনীকে; যেখানে তিনি একসময় কর্মরত ছিলেন।
পিডিএসও/রিহাব